৭ দফা না মানলে বিচার হবে

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৩৪ এএম

মারুফ কিবরিয়া ও ইব্রাহিম খলিল: নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ও তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দেয়াসহ সাত দফা দাবি না মানলে সরকারকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। গতকাল চট্টগ্রামে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন সরকারের উদ্দেশে বলেন, সময় থাকতে সাত দফা মেনে নিন। অন্যথায় এটা অমান্য করার জন্য বিচার হবে। জনগণের সিদ্ধান্তকে অমান্য করলে, উপেক্ষা করলে যে শাস্তি আপনারা পাবেন সেটা কল্পনাও করতে পারবেন না। 

তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ এবার আমাদের ৭ দফা দাবি না মানলে এটা অমান্য করার জন্য বিচার হবে। ২০১৪ সাল থেকে সংবিধান লঙ্ঘন করার জন্য যে জবাবদিহিতা সেটাও জনগণ আপনাদের কাছ থেকে আদায় করে ছাড়বে। সমাবেশের প্রধান বক্তা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৭ দফা দাবি আদায় করেই ঘরে ফেরার ঘোষণা দিয়ে বলেন, শুধু ১০ দিন অপেক্ষা করে দেখেন কি হয়। 

বন্দরনগরীর নুর আহমেদ সড়কে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশের মঞ্চ করা হয়েছিল সড়কের একপাশের ফুটপাথে।

বেলা ২টায় শুরু হওয়া এই সমাবেশে বিপুল লোক সমাগম হওয়ায় বিকালে আশপাশের সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। সিলেটের পর চট্টগ্রামে দ্বিতীয় জনসভা করলো ঐক্যফ্রন্ট। 

‘অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তিসহ ৭ দফা দাবি’। লেখা ছিল সমাবেশের ব্যানারে। 

প্রধান অতিথি ড. কামাল হোসেন বলেন, সংবিধানে আছে, জনগণই রাষ্ট্রের মালিক। কিন্তু সরকার ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার মাধ্যমে জনগণের সেই অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাই আমরা সরকারকে জানাতে চাই জনগণ জেগে উঠেছে, রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণকে ফেরত দিতে হবে। জনগণ রুখে দাঁড়ালে পালাবেন কোথায়? 

তিনি বলেন, জনগণের ভোট দেয়ার অধিকার নেই। সরকারের সমালোচনা করার অধিকার নেই। সরকারের বিপক্ষে কথা বলার অধিকার নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মালিকানা ছিল জনগণের। গণতন্ত্রই ছিল এ দেশের প্রথম শক্তি। জনগণের সেই অধিকার কেড়ে নিয়েছে এই সরকার।

তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীকে হাত তুলে ওয়াদা করান, তারা তাদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চান কিনা। এ সময় হাত তুলে সবাই সমর্থন জানান। 

তিনি বলেন, আমি বলছি জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে যেকোনো অসম্ভবই সম্ভব করা যায়। জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে অতীতে কোনো স্বৈরাচারী সরকার টিকতে পারেনি। এ সরকারও টিকতে পারবে না।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে ড. কামাল বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়ার ব্যাপার না, এটা তো হওয়ার কথা। আর কত চাওয়া হবে, চাইতে চাইতে তো মানুষ বিরক্ত হয়ে গেছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি অবশ্যই হোক। যদি মুক্তি না দেয়া হয় এজন্য জবাবদিহি আদায় করবো, শাস্তি দেয়া হবে। 

সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যত অন্যায় করেছেন সব কিছুর জবাবদিহি করতে হবে। জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক। লালদীঘি মাঠে জনসভার অনুমতি না দিয়ে মালিকদেরকে কষ্ট দিয়েছে সরকার। এ জন্য সরকারকে কৈফিয়ত দিতে হবে। সঠিক কৈফিয়ত না পেলে সকলকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। 

প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, লালদীঘি কারো পৈত্রিক সম্পদ নয়। লালদীঘি মাঠে জনসভা করার অনুমতি না দেয়ার পেছনে যারা জড়িত ছিল তাদের খুঁজে বের করা হবে। 

তিনি বলেন, সরকার একটার পর একটা অসাংবিধানিক কাজ করে যাচ্ছে। অসাংবিধানিক কাজ করে বর্তমান সরকার সাংবিধানিক শপথ ভঙ্গ করেছে। শপথ ভঙ্গকারীদের বিচার করে তাদের শাস্তি দেয়া হবে। এ সরকারের সকল  অপকর্মের বিচার একদিন না একদিন বাংলার মাটিতে হবে। বাংলাদেশ তাদের পৈত্রিক সম্পদ না। দেশের মালিক জনগণ। মালিক এবার সচেতন হয়েছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সাত দফা দাবি আদায় করে ঘরে ফিরবো। মামলা অনেক হয়েছে, ভৌতিক মামলা অনেক দিয়েছে। কিন্তু সাত দফা দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরবো না। 

তিনি বলেন, সরকার নিজেরা নাশকতা-সহিংসতা করে। তারপর বিরোধীদলের ওপর দোষ দেয়, মামলা দেয়, হয়রানি করে। আমরা অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবো না। শুধু ১০ দিন অপেক্ষা করেন, দেখেন কি হয়। 

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, ৭ দফা মানা ছাড়া, আমাদের সঙ্গে আলাপ করা ছাড়া তফসিল যদি ঘোষণার করেন, তাহলে বুঝবো যে, আপনি ও আপনার সরকার নির্বাচন বানচাল করতে চান। আমরা নির্বাচন করতে চাই, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই। সরকারকে বলবো, নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করবেন না। তফসিল ঘোষণা আলোচনা না করে করলে, দেশের ১৬ কোটি মানুষকে যদি সংকটের ভেতরে ঠেলে দেন, এর সমস্ত দায়-দায়িত্ব আপনাদের বহন করতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ওরা (সরকার) বলে তোরা যতই দাবি দিস, ৭ দফা ১১ দফা, আমরা মানবো না। আর আমরা চট্টগ্রামে বলতে এসেছি, দাবি মানতে হবে। ওরা বলছে, আমাদের অধীনেই নির্বাচন হবে, আমরা সরকারে থাকবো, আমাদের কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। আর আমরা বলতে এসেছি, তোমাদের অধীনে নির্বাচন হবে না। আমরা সমস্ত জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে তোমাদের গদি থেকে নামিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবো। এই আন্দোলনের আহ্বান জানাতে আমরা এখানে এসেছি।

ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়, ভোটাধিকার প্রয়োগ চায়। 

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের সময় গণতন্ত্রের জন্য যে আন্দোলন করেছিলেন সে গণতন্ত্র এখন নেই। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। আজ মুক্তিযোদ্ধারা সে গণতন্ত্র পাচ্ছে না। 

তিনি বলেন, এদেশের মানুষ নির্বাচন চায়, ভোটাধিকার চায়, গণতন্ত্র চায়। তা ফিরিয়ে দিতে হবে।

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার জাতীয় ঐক্য ও জনগণকে ভয় পায়। আজকে যে ক্রান্তিকাল তা থেকে উত্তরণের নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক করতে হলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে। 

বিদেশি বন্ধুরাষ্ট্ররা বলেছেন, বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপিসহ বিরোধী দল ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না। 

স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, এই ঐক্যের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করব সংলাপে বসার জন্য এবং সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন একটা নিরপেক্ষ সরকার করে তার অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তা নাহলে দেশে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষ ব্যবসা করতে পারছে না, চাকরিজীবীর চাকরি করতে পারছে না, শ্রমিকরা কাজ করতে পারছে না। কারণ মানুষ ঘরে টিকতে পারছে না। ঘরে-বাইরে যেখানে পাই সেখান থেকে মানুষকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। একইভাবে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে মিথ্যা মামলায় আটক করে ধরে নিয়ে গেছে। খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি রেখেছে। তারেককে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। তাই তারেককে ফেরাতে, খালেদাকে মুক্ত করতে এবং ব্যারিস্টার মইনুলসহ আটক সাধারণ জনগণকে মুক্ত করতে আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করেছি। 

বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, সরকার বিএনপি’র লক্ষাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করেছে। সরকার মনে করছে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করলে বিএনপি দমে যাবে। কিন্তু সরকার জানে না বিএনপি মানেই বাংলাদেশ। 

মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এসএম সাইফুল আলম ও বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদের পরিচালনায় জনসভায় বিএনপি’র মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, মীর মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন, আমানউল্লাহ আমান, ফজলুর রহমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সুকোমল বড়ুয়া, গোলাম আকবর খন্দকার, এসএম ফজলুল হক, মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, আওম শফিকউল্লাহ, একেএম জগলুল হায়দার আফ্রিক, জানে আলম, জেএসডি’র তানিয়া রব, আবদুল মালেক রতন, বেলাল আহমেদ, শফিক উদ্দিন স্বপন, গোলাম জিলানী, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, সোহ্‌রাব হোসেন, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আবম মোস্তফা আমিন বক্তব্য দেন।

২০ দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপি’র রেদোয়ান আহমেদ, সাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, শাহজাহান চৌধুরী, ওয়াদুদ ভূঁইয়া, লুৎফর রহমান কাজল, গাজী শাহজাহান জুয়েল, ম্যামা চিং, রেহানা আখতার রানু, নূরে আরা সাফা, সাকিলা ফারজানা, কোরবান আলী, আবু সুফিয়ান, ভিপি নাজিম উদ্দিন ও শাহ আলমও বক্তব্য দেন।

জনসভায় খেলাফত মজলিসের এমএ রকিব, মাওলানা মজিবুর রহমান, বিকল্পধারা একাংশের মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা শওকত আমীন, গণফোরামের মোশতাক আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের জাহিদুর রহমান, গণফোরামের রফিকুল ইসলাম পথিক, বিএনপি’র ফরহাদ হালিম ডোনার, মামুন আহমেদ, সানাউল্লাহ মিয়া, দীপেন দেওয়ান, নাজিমউদ্দিন আলম, শামীমুর রহমান শামীম, মীর হেলাল উদ্দিন, কাদের গনি চৌধুরী, রফিক শিকদার, আনোয়ার হোসেইন, নুরুল ইসলাম খান নাসিম, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার উপস্থিত ছিলেন।

সকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নগরীর জেল রোডে আমানত শাহ্‌র মাজার জিয়ারত করেন।

এর আগে নগরীর লালদিঘী ময়দানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাছে আবেদন করেন মহানগর বিএনপি। তবে পুলিশ লালদিঘীতে সমাবেশের অনুমতি না দিয়ে ঐক্যফ্রন্টকে ২৫ শর্তে বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে সমাবেশের অনুমতি দেয়।

সমাবেশ ঘিরে পুলিশের তৎপরতা: এদিকে সমাবেশ ঘিরে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি নেতাদের বাসা-বাড়িতে তল্লাশি চালায়। এরমধ্যে নগর বিএনপি’র চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ শাহাজাহানসহ অন্তত ২০ বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। 

চট্টগ্রাম মহানগর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহসিন বিএনপি নেতাকর্মীদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেন আটক নেতাকর্মীদের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানাতে না পারলেও তা ৩০ জনেরও বেশি বলে জানান। 

এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ ঠেকাতে পাল্টা সমাবেশ করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। শনিবার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) চত্বরে এই সমাবেশ করা হয়। সমাবেশ থেকে চট্টগ্রাম বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গা থানা থেকে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের বাধা সৃষ্টি করেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। 

বিএনপি নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে না আসতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ পদে পদে বাধা দিয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গা থানা এলাকা পাহারা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। উত্তর ও দক্ষিণ জেলার লোকজনকে বাধা দিয়েছে পুলিশ। 

এছাড়া সমাবেশে মিছিল নিয়ে আসার পথে নেতাকর্মীদের লাঠিসোটা নিয়ে তাড়া করেছে পুলিশ। সমাবেশস্থলে একপাশে ছাড়া অন্যপাশে কাউকে দাঁড়াতেই দেয়নি পুলিশ। এরপরও লাখো মানুষের সমাগম হয়েছে সমাবেশে। সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় পুলিশের এ বাধার তীব্র নিন্দাও জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। 

চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. কামরুজ্জামান অভিযোগের বিষয়ে বলেন, নগরীর কাজীর দেউড়িতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ ছাড়াও নগরীর ইপিজেড চত্বরে আরো একটি সমাবেশ হয়েছে। দু’টি সমাবেশে নিরাপত্তা দিতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়েছে। 

আটক বিএনপি নেতাকর্মী সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি পুলিশের নিয়মিত অভিযান। সমাবেশকে ঘিরে বিএনপি’র কোনো নেতাকর্মীকে আটক করা হয়নি। আটক ২০ নেতাকর্মী নাশকাতসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। সূত্র: মানবজমিন

বিডি২৪লাইভ/এএইচ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: