খালেদা জিয়ার ৭ বছরের জেল

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ১১:৫৭ এএম

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। আদালতের দেয়া সংক্ষিপ্ত রায়ে খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আক্তারুজ্জামান। এ ছাড়া ১০ লাখ টাকা জড়িমানা করেছেন আদালত। এ সময় আদালতে খালেদা জিয়ার কোন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ১২ টার দিকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আক্তারুজ্জামান এ রায় দেন।

এ ছাড়া, এ মামলায় খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীকে ৭ বছর, হারিছের ব্যক্তিগত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্নানকে ৭ বছর এবং বিএনপি নেতা সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ব্যক্তিগত সহকারী সচিব মনিরুল ইসলামকে ৭ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এ নিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬ মামলার মধ্যে দ্বিতীয় মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির আরেক মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন একই আদালত।

এর আগে আদালতে যাওয়ার মতো ফিট না হওয়ার কারণে বিএনপি চেয়ারপারসনকে আদালতে হাজির করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ’র পরিচালক আব্দুল্লাহ আল হারুন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক ব্রি. জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আদালতে যাওয়ার মতো ফিট না হওয়ার তাকে আদালতে হাজির করা হচ্ছে না।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য জানাতে তার চিকিৎসার্থে গঠিত পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা একত্রে বসেছিলেন। তবে সদস্যরা দেখেছেন, আদালতের যাওয়ার জন্য শারীরিকভাবে ফিট নন তিনি। ফলে তিনি আদালতে যাচ্ছেন না।’

এর আগে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে চ্যারিটেবল মামলার বিচার কাজ চলমান রাখার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে করা লিভ টু আপিল খারিজ করেছেন আদালত।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) খালেদা জিয়ার করা লিভটু আপিল খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ।

সকাল ৯টার পর কার্যদিবসের শুরুতেই প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন।

এ সময় আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে, খালেদার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন।

উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর পুরনো কারাগারে স্থাপিত আদালত হুইল চেয়ারে হাজির করা হয় বিএনপি প্রধানকে। এসময় বিচারককে উদ্দেশ্য করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার শারীরিক অবস্থা ভালো না। আমার পা ফুলে গেছে। বসে থাকলে আমার পা ফুলে যাবে। ডাক্তার বলেছে, পা ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। এখানে আমি আদালতে বারবার আসতে পারবো না। আপনাদের যা মনে চায়, যতদিন ইচ্ছা সাজা দিয়ে দিন।’

খালেদা জিয়া ছাড়া এ মামলার অন্য আসামীরা হলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও প্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান তারা কারাগারে আছেন।

আর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব আবুল হারিছ চৌধুরী পলাতক রয়েছেন।

বিডি২৪লাইভ/এএইচ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: