সন্তান না হওয়ায় গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন, অতঃপর...

প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ০২:৩৪ পিএম

সন্তান না হওয়ার অভিযোগে এক গৃহবধূর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে অত্যাচার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, সন্তান হচ্ছে না কেন? এ জন্য চিকিৎসকের কাছে গেলে চিকিৎসক জানান, গর্ভধারণে গৃহবধূর কোনও সমস্যা নেই। আর তখনি নির্যাতনের মাত্রা আরও দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির মৌয়ামারিতে। 

এ নিয়ে মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) এক সালিশি সভা বসে ময়নাগুড়ির মৌয়ামারিতে। সালিশি সভায় দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা বাঁধলে এক পর্যায়ে রক্তারক্তির কাণ্ড ঘটে। এতে বেশ কয়েক জন আহত হয়। 

জানা যায়, দুই বছর আগে ময়নাগুড়ির মৌয়ামারির বাসিন্দা কৃষ্ণ পালের সঙ্গে বিয়ে হয় অভিযুক্তার। অভিযোগ, বিয়ের সময় এক লাখ টাকা পণ নিয়েছিলেন কৃষ্ণ পাল। আর সেই সঙ্গে যৌতুক হিসেবে ছিল সোনাদানা, আসবাবপত্র সবই। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর উপর অত্যাচার শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরপর লাখ টাকা পণ, যৌতুক দিলেও কোনওভাবেই সুখের দেখা পায়নি। বিয়ের মাত্র ৬মাস থেকে নির্যাতনের মাত্রা চরমে ওঠে।

স্বামীর অভিযোগ তার স্ত্রীর সন্তান না হওয়া নিয়ে। এরপর এ অভিযোগ এনে অত্যাচার শুরু হয়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতিতে সামলাতে চিকিৎসকের সাহায্যও নিয়েছিলেন গৃহবধূ। যখন চিকিৎসকের কাছ থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা জানতে পারে যে, গর্ভধারণে গৃহবধূর কোনও সমস্যা নেই, তখন নির্যাতনের মাত্রা আরও চড়ে। এই পরিস্থিতিতে মেটাতে গ্রামে সালিশি সভা বসানো হয়। 

এ ঘটনা নিয়ে গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি ও বাপেরবাড়ির লোকেদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে আহত হয় কমপক্ষে ১০ জন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদের মধ্যে ৩ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। 

অন্যদিকে, এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। তবে মমতা পাল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বিডি২৪লাইভ/এএইচ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: