ধনী দেশের তুলনায় গরিব দেশে কেন জন্মের হার বেশি?

প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:৫০ পিএম

বিশ্বের প্রতিটি ধনী দেশেই দেখা যায় জন্মের হার তুলনামূলক ভাবে ‘গরিব’ দেশের তুলনায় কম। যদিও বিশ্বের প্রতিটি নারী নাকি গড়ে আড়াই জন শিশুর জন্ম দেন। কিন্তু ‘গরিব’ দেশগুলোতে শিশু জন্মের হার ধনী দেশগুলোর তুলনায় বেশি কেন?

বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের দেয়া কিছু ব্যাখ্যা তুলে ধরা হল:

গরিব দেশের শিশু: বিশ্বের গরিব দেশের মা-বাবা’র ঘরে জন্ম নেয় গড়ে পাঁচ থেকে ছয়টি শিশু। যার মধ্যে পূর্ব আফ্রিকার সোমালিয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও অনেক ক্ষেত্রে শিশুকে সংসারের সচ্ছলতার জন্য কাজও করতে হয়। অনেক সময় বেশি সন্তানকে সংসারের সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবেও দেখা হয়ে থাকে।

বাবা যখন কারণ: আসলে একজন নারী কয়টি সন্তানের জন্ম দেবে, তা নির্ভর করে সন্তানের বাবার ওপর। কেননা, বিয়ে, চাকরি বা সন্তানের জন্ম দেয়ার মতো কোন সিদ্ধান্তই নেয়ার অধিকার নেই নারীদের। সেসব দেশে এ ধরণের সিদ্ধান্তই নেয়ার অধিকার নেই সেখানে দেখা যায় বেশি শিশু জন্ম নেয়। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা দক্ষিণ আমেরিকার কথা জানিয়েছেন, যদিও বলেছেন, শহরের তুলনায় গ্রামের নারীদের সন্তান বেশি হয়ে থাকে, যা আসলে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে ধারণা নেই: দেখা যায়, অনেক গরিব দেশের নারীদের গর্ভনিরোধক বা জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই। এই বিষয়ে নিয়ে স্কুল, ডাক্তার বা কোথাও আলোচনা হয় না, অর্থাৎ বহু নারী না চাইলেও তারা গর্ভবতী হচ্ছেন।

আফ্রিকার অবস্থা: কেন গরিব দেশ থেকে ধনী দেশে জন্মে হার বেশি। এ বিষয়ে জনসংখ্যা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মারাইকে ড্যোরিং বলেন, বিশ্বের ৪৩টি দেশের নারীরা গড়ে চারটি সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকেন। আর এই দেশগুলোর মধ্যে ৩৮টি দেশই আফ্রিকার।

ধনী দেশের নারীদের ভাবনা: সাধারণত দেখা যায়, জার্মানি, আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ার মতো অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশের নারীরা গড়ে এক বা দুটি সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকেন। কারণ, এসব দেশে জনসচেতনতা তুলনামূলকভাবে বেশি, সন্তান জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নারী নিজেই নিতে পারেন। এ ছাড়া শিল্পোন্নত দেশগুলোতে সন্তান জন্মের পরও নারীরা চাকরি করতে চান।

এসব দেশের মায়েদের মতে, শুধু বাচ্চা জন্ম দিলেই হবে না, তাদের সুস্থ ও সুন্দর জীবন দেয়ার নিশ্চয়তাও থাকতে হবে।

বিডি২৪লাইভ/এএইচ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: