কালা বাহিনীর সদস্য আটক

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৫৮ পিএম

বান্দরবানের লামায় ভারতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কালা বাহিনীর এক সহযোগিকে আটক করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা। 

আটক জুয়েল ত্রিপুরা (২১) উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের রাজা পাড়ার অনজহা ত্রিপুরার ছেলে। তার পরিবার বর্তমানে আলীকদমের সোনাছড়িতে থাকে। 

সোমবার দিবাগত রাতে জুয়েল ত্রিপুরা লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের টংগু ঝিরি পাড়ায় তার শ্বশুর বাড়িতে গেলে পাড়ার কারবারী হানাশিম ত্রিপুরা অন্যান্য মুরুব্বীদের নিয়ে তাকে আটক করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়।  

জুয়েল ত্রিপুরা জানায়, গত ২ অক্টোবর সে রুমা উপজেলার বলি বাজার জুইতং পাড়ায় দিনমজুর হিসাবে বাগানে কাঠ কাটতে যায়। সেখানে গেলে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাকে ধরে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা চার রাত হাঁটার পর তাকে নিয়ে ভারতের আগরতলা গিয়ে পৌঁছায়। সে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপটির রান্নার কাজ করত। সশস্ত্র দলটির সদস্য সংখ্যা ৩৬জন ছিল। সন্ত্রাসী দলটির নাম কালা বাহিনী। 

আগরতলা কালা বাহিনীর অবস্থান স্থলে কয়েকটি ছনের ঘর আছে। সন্ত্রাসীদের কাছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মতো অস্ত্র আছে। তাদের পোশাক জলপাই কালার। বর্তমান গ্রুপটির অবস্থান ভারতে আগরতলায়। কালা বাহিনীর কমান্ডার এর নাম স্বর্ণ কুমার। সে জানায় ২৫ দিন তাদের সাথে থাকার পর কৌশলে সে পালিয়ে আসে। গত ৪ নভেম্বর খাগড়াছড়ি রামগড় বাজার হয়ে দিয়ে সে দেশে ফেরত আসে। তার কাছে ভারতীয় ৯৮০ রুপি পাওয়া গেছে।  

টংগু পাড়া কারবারী হানাশিম ত্রিপুরা বলেন, জুয়েল ত্রিপুরা গত ১১ নভেম্বর রবিবার টংগু ঝিড়ি তার শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রীর স্মার্ট কার্ড তোলার জন্য আসে। তখন আমি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি নিয়ে তাকে আটক করি। জুয়েল ত্রিপুরা কিছুদিন আগে আমার মামা বিদ্যা চন্দ্র ত্রিপুরাকে ভারত থেকে ফোন দেয় এবং বলে তুমি আমার কাছে চলে আস। মাসে মাসে অনেক টাকা পাবে, বাড়িতে বিল্ডিং বানাতে পারবে। এই তথ্যটি বিদ্যা চন্দ্র আমাকে এবং তার বাবাকে জানায়। সে সন্ত্রাসী গ্রুপটির সহযোগী সদস্য হিসেবে কাজ করে। এই জন্য তাকে আটক করে আমরা সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেই। 

আলীকদম সেনা জোনের এক কর্মকর্তা জানায়, মঙ্গলবার সকালে লামা ক্যাম্প হতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জুয়েল ত্রিপুরাকে আলীকদম সেনা জোনে আনা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: