শুরুতেই প্রশ্নবিদ্ধ ইসি

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৪৫ এএম

মুসতাক আহমদ ও রাশেদ রাব্বি: নির্বাচনী আচরণবিধি প্রয়োগ ও শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে এক কমিশনারের মন্তব্যে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে- এমনটি মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা নেয়ার সময় মিছিল ও শোভাযাত্রা করে নির্বাচনী আচরণবিধি বড় দুই দলই ভঙ্গ করেছে। এতে ক্ষমতাসীনদের ক্ষেত্রে শিথিলতা দেখালেও মাঠের বিরোধী দল বিএনপির ক্ষেত্রে কঠোর ছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আচরণবিধি কার্যকরের নামে পুলিশি অ্যাকশনে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এই বিধি প্রয়োগে শুরুতেই আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে কঠোর হলে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতো। পাশাপাশি শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়- কমিশনার কবিতা খানমের এমন মন্তব্যে জনমনে ভোট নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা সন্দেহ। এতে শুরুতেই ইসির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য বিশ্লেষকদের।

শুক্রবার নির্বাচন ভবনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে তিনটি বিভাগের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশে শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। বাংলাদেশেও হবে না।’ তবে তিনি এটাও বলেছেন যে, ‘সুতরাং আমরা বলতে চাই, একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হবে; যা নিয়ে কারও কোনো প্রশ্ন থাকবে না। নির্বাচন কমিশনকে জবাবদিহি করতে হয় জনগণের কাছে। সুতরাং এমন কোনো নির্বাচন করতে চাই না, যার জন্য জনগণের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শনিবার রাতে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম টেলিফোনে যুগান্তরকে বলেন, ‘আমার বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনার কথা শুনছি। তবে এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলতে চাই না।’

এর আগে গত ৭ আগস্ট ইসিতে এক কর্মশালা উদ্বোধনের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার আরেকটি বক্তব্য আলোচনায় উঠে আসে। ওইদিন সিইসি জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বড় পাবলিক নির্বাচনে যে অনিয়ম হবে না, এটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে অনিয়ম হলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ অবশ্য তিনি আরও বলেছিলেন, ‘নির্বাচনে অনিয়ম হলে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা যুগান্তরকে বলেছেন, পৃথিবীর কোনো দেশের নির্বাচন কমিশনই সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে সন্দেহমূলক কোনো কথা বলেন না। কেননা, এতে জনগণের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে ভুল বার্তা যায়। বরং বহু দেশেই শতভাগ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটান এর বড় প্রমাণ।

তারা বলেন, ‘শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’- এ ধরনের কথা বললে নির্বাচনে যারা অনিয়ম করে, তাদের উৎসাহিত করা হয়। সুতরাং সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে ইসির কোনো অজুহাত ও দৃষ্টান্ত মানুষ গ্রহণ করবে না। মানুষ একটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আশায় অধীর আগ্রহে বসে আছে।

বিশ্লেষকদের আরও অভিমত, বড় দু’দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রিকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে প্রমাণিত হয় যে, খোদ ইসিই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না।

তাদের মনে রাখা উচিত, দেশের গণতন্ত্র, সুশাসন, উন্নয়ন, ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাবে, নির্বাচনকালে তা সবই নির্ভর করে ইসির ওপর। পাঁচ বছর পরপর ভোট দিয়ে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করেন। ভোট যদি ভালো হয়, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয়, তাহলে রাজনৈতিক অভিভাবকেরা জনভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারবেন। এ প্রক্রিয়ায় কোনো রকম অনিয়ম হলে নির্বাচন হবে প্রশ্নবিদ্ধ। তখন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জবাবদিহির জায়গা নষ্ট হয়ে যায়।

জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ ধরনের কথা বলা ইসির উচিত নয়। এগুলো নেতিবাচক কথা। কেননা, অনিয়ম মুক্ত ও শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা দেয়ার দায়িত্ব অর্পণ করেই তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এজন্য ইসিকে সংবিধান এবং আইন দ্বারা শক্তিশালী করা হয়েছে। সুতরাং, এ ধরনের কথাবার্তা যদি ইসি থেকে বিশেষ করে কমিশনারদের মুখে উচ্চারিত হয়, তাহলে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ইসির ব্যাপারে জনগণের সন্দেহ এবং অনাস্থা বাড়তে থাকে।

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না’- এগুলো নেতিবাচক কথা। পৃথিবীর বহু দেশে নির্বাচন নিয়ে কোনো কথাই ওঠে না। বেশি দূর যাওয়ার দরকার নেই। উপমহাদেশে ভারত, ভুটান এবং নেপালে তিনটি নির্বাচন হয়ে গেল।

ইসি এবং নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা উঠেনি। দু-একটি দেশ সম্পর্কে যে কথা আমরা অতীতে শুনেছি, সেটা চুরি-চামারির জন্য নয়। যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত বিচ্যুতিসহ ছোটখাটো ত্রুটি সেগুলো। আমাদের এখানে তো পরিকল্পনা করে নির্বাচন নষ্ট করা হয়। কাজেই আমাদের সঙ্গে অন্য কারও তুলনা চলে না। কাজেই দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে এগুলো যখন প্রকাশ্যে বলা হয়, তখন ইসি নিয়েই মানুষের মনে সন্দেহ জাগে। সুতরাং, খুব দুঃখজনক যে, ইসি থেকে এ ধরনের কথা বলছে। এতে নির্বাচনে যারা অনিয়ম করে, তাদের উৎসাহিত করবে।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না’ এবং ‘বড় নির্বাচনে অনিয়ম হবে না, এমন নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভব নয়’- নির্বাচন কমিশনের মতো দায়িত্বশীল অবস্থানে থেকে এমন বক্তব্য যারা প্রদান করেছেন, তারা নিজেরাও ‘কনফিউজড (সংশয়)’ হয়েছেন এবং অন্যদেরও ‘কনফিউজড’ করেছেন। তারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা যথাযথ নয়। তাদের উচিত নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু করার চেষ্টা করা।

নির্বাচন কমিশনের এমন বক্তব্যের ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ইসির দায়িত্ব গ্রহণযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। এজন্য তারা কাজ করবে। কোনো অজুহাতে আরোপিত দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই।

যদি তাদের কথায় কোনো দুর্বলতা প্রকাশ পায়, তাহলে নির্বাচনে যারা অস্বচ্ছতা চায় তারা ওই সুযোগ কাজে লাগানোর পাঁয়তারা করতে পারে। তিনি বলেন, ইসির কাছে জনগণ দায়িত্বশীল কথা ও আচরণ আশা করে। যদি তারা তাদের দায়িত্ব পালন করতে না পারে, তাহলে তারা চিন্তা করতে পারেন পদে থাকবেন কিনা। কিন্তু কোনো অজুহাত ও দৃষ্টান্ত মানুষ গ্রহণ করবে না।

এ ব্যাপারে বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না একথা ঠিক নয়। শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এমন অনেক দেশ পৃথিবীতে আছে। তিনি বলেন, উনাদের দায়িত্ব অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা। উনারা এখনই যদি মনে করেন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, তাহলে ওই পদে উনাদের বসে থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এক্ষেত্রে তাদের সরে যাওয়াই ভালো।

এদিকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি নিয়ে বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং পুলিশের পক্ষ থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক পরিচয় সংগ্রহকে কেন্দ্র করে ইসির বক্তব্যকেও ইতিবাচকভাবে দেখছেন না বিশ্লেষকরা। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন এ ব্যাপারে বলেন, একটি দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রির শেষের দিকে এবং আরেকটির শুরুর পর আচরণবিধির ব্যাপারে ইসি সার্কুলার দিয়েছে। ওটা ইসির যে ভুল ছিল তা তারাই বুঝতে পেরেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড মানুষের মনে সন্দেহ জাগে।

নিরপেক্ষতা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় হয়। তিনি বলেন, ইসির সব সময় মাথায় রাখা উচিত যে, তারা একটি কঠিন নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এ নির্বাচন কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হচ্ছে না। এখানে একটি রাজনৈতিক দল ১০ বছর ক্ষমতায় আছে। তাদের সংসদ আছে।

৩৫০ সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় নির্বাচন করছে। এটা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের বিষয়। সেই চ্যালেঞ্জগুলো কিভাবে মোকাবেলা করবে, সেগুলোই নির্বাচন কমিশনকে বলা উচিত। আজকে পত্রিকায় দেখলাম যে, পুলিশ প্রিসাইডিং অফিসারদের খবর নিচ্ছে।

এ ব্যাপারে ইসি বলছে, রিটার্নিং অফিসার যা করার করবে। রিটার্নিং অফিসার তো যা করার করবে না। এখানে ইসি তো আছে। তাদেরকেই বলতে হবে। কারণ সব প্রশাসন তো রিটার্নিং অফিসারের অধীনে নয়। ইসির অধীনে। তিনি বলেন, এ ধরনের কথাবার্তা গত ইসিও বলেছিল। যদি ইসি বলে যে, আমরা জানিনা রিটার্নিং অফিসার জানে, তাহলে তো ইসির দরকার নেই। তাহলে তো সরাসরি রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দিয়েই নির্বাচন করা যেত।

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ১৩ নভেম্বর আচরণবিধি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যে চিঠি দেয়া হয়েছে সেটা আরও আগেই দেয়া উচিত ছিল। যেদিন ধানমণ্ডিতে একটি দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে সেদিন চিঠি দিলে এমন পরিস্থিতি হয়তো সৃষ্টি হতো না।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ বদিউল আলম মজুমদার বলেন, একটি দল কয়েক দিন ধরে মনোনয়নপত্র বিতরণ করল। তাদের কারণে একটি এলাকায় চরম আকারে জনদুর্ভোগ তৈরি হল। কিন্তু একই কায়দায় যখন আরেকটি দল মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করে তখন ইসি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো ব্যক্তির মিছিল-মহড়া বন্ধে সার্কুলার দিল। এটা যদি সব দলের জন্য প্রযোজ্য হতো, তাহলে ভালো উদ্যোগই হতো। কেননা, জনগণকে এখানে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। কিন্তু একটি দলের কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পর যখন আরেকটি দলের একই কাজ শুরুর পরে সার্কুলার আসে তখন ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রশাসন চলে যায় ইসির অধীনে। একটি দলের ঘটনায় একটি লোক মারা গেল। ওই আসামি ধরা পড়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেয়ে যায়। আরেকটি দলের ঘটনার পর আসামিরা রিমান্ডে যায়। এ ধরনের একই ইস্যুতে আইন ও রীতি প্রয়োগে ভিন্নতা দেখা দিলে ইসির ভূমিকার ব্যাপারে জনগণের মধ্যে বিরাট প্রশ্ন দেখা দেবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের দায়িত্ব নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসিকে সহায়তা। সরকার মানে হল জনপ্রশাসন, পুলিশ ইত্যাদি। যদি সরকারের সেই সহায়তা না থাকে ও পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ দেখা যায় তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। এসব কারণেই বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ সরকারের দাবি উঠেছে।

ড. শাহদীন মালিক এ প্রসঙ্গে বলেন, সম্প্রতি বড় দুটি দলের মনোনয়ন বিক্রিকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা প্রমাণ করে এই কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। এসব ঘটনা ও তার পরিপ্রেক্ষিতে বিলম্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ তাদের নিরপক্ষেতা ও দক্ষতার অভাবের পরিচায়ক। তারা নিরপেক্ষ না থেকে নির্বাচন পরিচালনা করলে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। এর পরদিন ৯ নভেম্বর দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ। ১২ নভেম্বর মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু করে বিএনপি। উভয় দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা শোভাযাত্রা-মিছিলসহ যান দলীয় কার্যালয়ে। এতে পরিস্থিতি এমন আকার ধারণ করে যে, রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যানজট তৈরি হয়। এতে মানুষ দুর্ভোগে পড়ে।

কিন্তু ইসি ১২ নভেম্বর নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে ব্যবস্থা নিতে উপজেলায় একজন করে নির্বাহী হাকিম নিয়োগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। সেই সঙ্গে তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো ব্যক্তির মিছিল-মহড়া বন্ধে পুলিশকে চিঠি দেয়া হচ্ছে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।

ইসির এমন নির্দেশনার বিষয়টি প্রকাশ পায় ১৩ নভেম্বর। এরপর পুলিশ নির্দেশনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। পুলিশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে গেলে ১৪ নভেম্বর বিএনপি অফিসের সামনে সংঘর্ষ হয়। সূত্র: যুগান্তর।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: