উরু দেখিয়ে গ্রেফতার মন্দিরে ঢুকতে চাওয়া সেই মুসলিম তরুণী!
হিন্দুদের ধর্মীয় সাজ নিয়ে ঊরু বের করে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রকাশের অভিযোগে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভারতের কোচিন শহরে তার অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া ৩২ বছর বয়সী রেহানা ফাতিমা একজন নারী অধিকারকর্মী ও মডেল। পেশায় তিনি টেলিকম টেকনিশিয়ান।
ফাতিমার বন্ধুর বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ফাতিমাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে ফাতিমার কোম্পানি সরকার পরিচালিত বিএসএনএল তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাকে বরখাস্ত করেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, অক্টোবর মাসে ফাতিমা কেরালা রাজ্যের সবরিমালা মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করে বিক্ষোভের মুখে ফিরে আসেন। মন্দিরে যাওয়ার আগে পূজার সাজ সেজে ঊরু বের করে সেলফি তোলেন তিনি। সেই ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়েন। তার বিরুদ্ধে পুলিশের করা মামলায় ছবিটিকে যৌনতার সঙ্গে উপস্থাপন এবং আয়াপ্পা–ভক্তদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
ফেসবুকে প্রকাশিত সেলফিতে দেখা গেছে, ফাতিমা দেবতা আয়াপ্পার ভক্তদের মতো কালো পোশাক পরেছেন। রীতি অনুসারে কপালে চন্দনের আঁচড় দিয়েছেন। হাঁটু ভাঁজ করে আয়াপ্পার ভঙ্গিতে বসেছেন।
ফাতিমার বন্ধু আরাথি জানান, কোনও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া বা যৌন আপত্তিকর কোনো কিছু উদ্দেশ্য ছিল না ফাতিমার।
প্রশ্ন রেখে ফাতিমার বাবা বলেন, আয়াপ্পার পুরুষ ভক্তরা যখন খালি গায়ে ঊরু প্রদর্শন করে মন্দিরে যান, তখন কেন কেউ ক্ষুব্ধ হন না?
মাসিকের সময় বিবেচনা করে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারীদের আয়াপ্পা দেবতার মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। শত শত বছর ধরে চলে আসছে এই রীতি। এরপর গত সেপ্টেম্বরে দেবতা আয়াপ্পার মন্দিরে নারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আদেশ দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
আদালত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর ফাতিমাসহ এক নারী সাংবাদিক পুলিশের প্রহরায় মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। কিন্তু মন্দিরের পুরোহিত ও ভক্তদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়ে তারা ফিরে আসতে বাধ্য হন।
উল্লেখ্য, রেহানা ফাতিমার জন্ম রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে হলেও ১২ বছর বয়সে তার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যায়। তখন তাদের পরিবারে সদস্য মাত্র তিনজন। তাও নারী। তার মধ্যে একজন হলেন ফাতিমা। অন্য দুজনের একজন তার মা ও বোন। পড়াশোনা করেছেন মাদ্রাসায়। ফাতিমা নিজেই বলেন, আমি আগে হিজাব পরতাম। নামাজ পড়তাম পাঁচ ওয়াক্ত।
ফাতিমার বক্তব্য, কেউই রাতারাতি বদলে যায় না, বিপ্লবী বনে যায় না। জীবনের নানা বিরূপ অভিজ্ঞতার কারণেই মানুষ বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।
বিডি২৪লাইভ/এআইআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: