হায়েজের কারণে কি নারীর মেধা কম হয়?

প্রকাশিত: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:২৫ এএম

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনের জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

আপনার জিজ্ঞাসার ২২১১তম পর্বে হায়েজ হওয়ার কারণে নারীরা দুর্বল ও কম মেধার হন কি না, সে সম্পর্কে ঢাকার দক্ষিণ দনিয়া থেকে চিঠিতে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জহুরা সুলতানা।

প্রশ্ন : হায়েজ হয় বলে কি নারীরা দুর্বল? তাদের মেধাও কম?

উত্তর : হায়েজের কারণে নারীদের দুর্বল করা হয়নি। হায়েজের মাধ্যমে নারীদের শারীরিক ভারসাম্য ঠিক রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ তাদের অতিরিক্ত কিছু জিনিস দেওয়া হয়েছে, সন্তান ধারণ করার জন্য, সন্তান বহন করার জন্য, সন্তানের বৃদ্ধির জন্য যেগুলো অতিরিক্ত প্রয়োজন, যেটা পুরুষের মধ্যে দেওয়া হয়নি।

এমনকি হায়েজ নিয়মিত না হলে নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন, এমনকি চিকিৎসকের শরণাপন্নও হতে হয়। এ জন্য এটি একেবারেই স্বাভাবিক আর এর জন্য নারীর মেধা কম হওয়ারও কোনো কারণ নেই।

গঠনের বিষয়টি আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা নারীদের পুরুষ থেকে বিভিন্ন দিক থেকে দুর্বল করেছেন, আবার অনেক দিক থেকে তাদের সবলও করেছেন। জাতিগতভাবে মেধার দিক থেকে তাদের দুর্বল করা হলেও এমনটি হতেই পারে যে একজন নারীর মেধা দশজন পুরুষের মেধার থেকেও বেশি হতে পারে। সেটা হতে পারে ব্যক্তিগতভাবে।

পুরুষদের জাতিগতভাবে মেধা বেশি দেওয়া হয়েছে, কারণ হলো তাদের জন্য অতিরিক্ত কিছু কাজ আছে—তাদের উপার্জন করতে হয়, যুদ্ধের জন্য যেতে হয়, মানুষের সঙ্গে অনেক লেনদেন করতে হয়, যেগুলো নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। এ জন্য আল্লাহতায়ালা গঠনগত দিক থেকে তাদের একটু শক্তিশালী করেছেন।

এখন একজন নারীকে যদি মাসের পর মাস দুই হাতে বিশ কেজি করে বোঝা বহন করতে হয়, তাহলে তিনি আর সন্তান ধারণ করতে পারবেন না। গঠনগত দুর্বলতার কারণে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এগুলো একবারেই পরীক্ষিত ও প্রমাণিত বিষয়। তবে নারীর এই দুর্বলতার সঙ্গে হায়েজের কোনো সম্পর্ক নেই।

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: