১০ বছর পর খুলল বিএনপি কার্যালয়ের তালা

চাঁদপুর-১ আসন কচুয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত। সংসদীয় এ আসনটিতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে বিএনপি কোণঠাসা, আবার বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে আওয়ামী লীগ কোণঠাসা অবস্থায় থাকে।

এ কারণে গত ১০ বছর এই নির্বাচনী এলাকায় কোণঠাসা অবস্থায় ছিল বিএনপি।

তবে ১০ বছর পর গত দুইদিন আগে কচুয়া উপজেলা বিএনপির কার্যালয়টির তালা খোলা হয়েছে। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের নির্দেশে অফিসটি খোলার পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। কচুয়া পৌর বাজারের প্রধান সড়কে উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল ও অঙ্গ-সংগঠনের প্রধান এ কার্যালয়টি অবস্থিত।

এ বিষয়ে দলটির নেতা-কর্মীরা জানান, গত ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপির অফিসটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে এখন অফিসটি চালু করায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে চরম উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।

এ নিয়ে কচুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হুমায়ন কবির বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। তাই দলীয় কার্যালয়টি খোলা হয়েছে। এতদিন কার্যালয়ের বাইরে দলীয় কার্যক্রম ও কর্মসূচি পালন করেছি। এখন থেকে কার্যালয়টি ব্যবহার করে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসাহ দেয়া যাবে।’

হুমায়ন কবির বলেন, ‘এই আসনে এখনও বিএনপির দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী নিশ্চিত হয়নি। তিনজন মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছে। দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যাকে মনোনয়ন দেবে, আমরা তার পক্ষে ধানের শীষ প্রতীকে কাজ করব।’ বলে জানান তিনি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাঁদপুর-১ (কচুয়া) নির্বাচনী আসনে বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ৩ জন প্রার্থী।

তারা হলেন- সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আ ন ম এহসানুল হক মিলন, তার স্ত্রী নাজমুন নাহার বেবী এবং প্রবাসী বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন। এদের মধ্যে এই আসনে কে হচ্ছেন ‘ধানের শীষের’ প্রার্থী তা চূড়ান্তভাবে জানতে হলে কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। তাই আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই আসনের বিএনপি নেতা-কর্মীদের অপেক্ষার প্রহর গুণতে হবে।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ