যৌতুকের দাবীতে গৃহবধূকে হত্যা করে আত্মহত্যার প্রচারনা

প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:৫২ এএম

কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা ইউনিয়নের পারুয়ারা গ্রামে যৌতুকের দাবীতে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে খাদিজা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করে লাশ ঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার প্রচারণা চালায়। খবর পেয়ে দেবপুর পুলিশ শনিবার (৮ ডিসেম্বর ২০১৮) সকালে লাশ উদ্ধার করে।

স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, জেলার মুরাদনগর উপজেলার পরমতলা গ্রামের তমিজউদ্দিনের মেয়ে খাদিজা আক্তারের সাথে বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়নের পারুয়ারা জমশের বাড়ি গ্রামের ওমর ফারুকের সাথে এক বছর পুর্বে দু’পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়।

নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, বিয়ের সময় ফারুকের স্বভাব, চরিত্র সম্পর্কে বিস্তারিত না জানলেও বিয়ের অল্প কিছুদিন পর থেকে তার চাল-চলনে পরিবর্তন দেখা যায়। নিয়মিত মাদক সেবনের কারণে স্ত্রী’র সাথে এ নিয়ে তার প্রায়ই বিরোধ চলতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে ফারুক ও তার পিতা-মাতাসহ পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের জন্য খাদিজার উপর চাপ দিতে থাকে। এ জন্য সময়ে-অসময়ে তাকে বেদড়ক মারধোরও করতো।

গত শনিবার রাতে নির্যাতনের এক পর্যায়ে খাদিজার মৃত্যু হয়। পরে স্বামীসহ পরিবারের লোকজন তার লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার করেছে বলে প্রচারণা চালায়।

স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে নিহতের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। নিহতের পিতা তমিজউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। আমরা এসে দেখি মেয়ের পা মাটিতে লেগে আছে। এছাড়া তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ের শরীরের একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। এদিকে ঘটনার পরপরই স্বামী ওমর ফারুকসহ পরিবারের সকল সদস্য পালিয়ে গেছে।

খবর পেয়ে দেবপুর ফাঁড়ির আইসি আবু ইউসুফ ফসিউজ্জামান, এসআই জালালসহ পুলিশের একটি দল সকাল সাড়ে ১০ টায় ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। বিষয়টি জানতে চাইলে আইসি আবু ইউসুফ ফসিউজ্জামান বলেন, বিষয়টি হত্যা না আত্মহত্যার সেটা ময়নাতদন্তের আগে বলা যাচ্ছে না।

বিডি২৪লাইভ/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: