গুলিতে নিহত হানিফের বুকে ছিল নৌকা!

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:৩৯ পিএম

নোয়াখালী সদরে যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের গুলিতে নিহত মো. হানিফের বুকে লেখা ছিলো ‘আমার মার্কা নৌকা’। সে ওই ইউপি ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

মো. হানিফ এওজবালিয়া ইউপি দক্ষিণ শুল্লুকিয়া গ্রামের মো.মফিজ উল্যার ছেলে।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে দক্ষিণ শুল্লুকিয়া গ্রামে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রহিম রিজভীর বাড়িতে উঠোন বৈঠক করছিলো বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা।

এসময় যুবলীগ নেতা হানিফের নেতৃত্বে নৌকা মার্কার সমর্থনে গণসংযোগ নিয়ে যাচ্ছিলো যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। জয় বাংলা শ্লোগান শুনে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর অর্তকিত হামলা ও গুলি চালিয়ে হানিফের মাথা থেঁতলিয়ে দেয়। পায়ে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। হামলায় যুবলীগ কর্মী লিটনসহ দুইজন আহত হয়েছে।

বুধবার বিকেলে ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ শুল্লকিয়া গ্রামে নিহত হানিফের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর উপজেলা) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী এমপি, নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌর মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেলসহ শত শত মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে হানিফ হত্যার ঘটনায় এওজবালিয়ার শুল্লুকিয়া গ্রামসহ আশ-পাশের এলাকায় বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় কয়েকটি বাড়ি-ঘরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, বিএনপির একটি বৈঠক থেকে যুবলীগ নেতা হানিফসহ কয়েকজনের উপর অর্তকিত হামলা চালানো হয়। এতে হানিফ মারা যান। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে বর্তমানে শুল্লুকিয়া এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: