জাবিতে ভেঙ্গে পড়ছে মসজিদের অবকাঠামো

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:২০ পিএম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আ ফ ম কামালউদ্দিন হল এবং শহীদ সালাম বরকত হল সংলগ্ন মসজিদের অবকাঠামো ভেঙ্গে পড়ছে, দেয়ালে দেখা দিয়েছে ফাটল এবং উপর থেকে প্রায় খসে পড়ছে পলেস্তারা। প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নামায আদায় করছেন এই দুই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। মসজিদটি সংস্কারের বিষয়ে প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অবগত করেও এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ে নি। ফলে এরকম অনিশ্চয়তায় রয়েছে মসজিদটির সংস্কার কাজ।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ১৯৯০ সালে নির্মিত হয় এই এক তলা বিশিষ্ট মসজিদটি। নির্মাণের পরের বছরেই ফাটল ধরে মসজিদটির। এরপর যৎসামান্য সংস্কার করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এবছর আবারও বড় ধরনের ফাটল ধরেছে মসজিদের ছাদ ও দেয়ালে। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেয় নি কর্তৃপক্ষ এমনটি অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

ঝুঁকিপূর্ণ এ মসজিদটিতে প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও আশেপাশের এলাকা থেকে প্রায় শতাধিক লোক নিয়মিত নামাজ আদায় করছেন বলে জানা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী তাহমিদ আহমেদ বলেন, ছাদ ও দেয়ালে বিপজ্জনক ফাটল ধরেছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে মৃত্যুর মতো অনাকাঙ্খিত ঘটনা।

আইন ও বিচার বিভাগের মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বছরের পর বছর ধরে মসজিদের ভিতরে ব্যাপক ফাটল দেখে আসছি। দীর্ঘদিন ধরে এমন ফাটল থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। প্রশাসনের আন্ত:রিকতার অভাবে সংস্কার কাজ হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি।

মসজিদের ইমাম আবদুল কাদের বলেন, মূলত নির্মাণকাজ ভাল না হওয়ার কারণে মসজিদের দেয়াল ও ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে বার বার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত স্থায়ী কোনো সমাধান নেননি তারা।

ঝুঁকিপূর্ণ মসজিদ সম্পর্কে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজের সাথে যোগাযাগের চেষ্টা করা তিনি অতিদ্রুত মসজিদটির সংস্কার কাজের আশ্বাস দেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আ.ফম কামাল উদ্দিন হলের প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, আমি নিজেই মসজিদটি সরেজমিনে ঘুরে দেখেছি। সত্যি মসজিদের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। ইতোমধ্যে দুই হলের কর্তৃপক্ষ ইঞ্জিনিয়ার সেকশনে কথা বলেছি। তাদের দেওয়া বাজেট অনুযায়ী মসজিদটি সংস্কার করার থেকে নতুন একটি মসজিদ নির্মাণ করা সম্ভব। মসজিদ নির্মাণের জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তা বিভিন্ন ত্রাণ সেক্টর থেকে আসতে দেরি হওয়ায় নির্মাণ কাজ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে দ্রুত মসজিদের কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: