বাতিল হতে পারে ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার সনদ
স্বাধীনতার ৪৭ বছরে অনেক সরকার আসলেও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা এক লাখ ৮০ হাজার। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করতে গেলে ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল হতে পারে।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘আমাদের সার্ভে অনুযায়ী যারা মুক্তিযোদ্ধা নয়, কিন্তু তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন এরকম সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাদ হতে পারে। তবে একই সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা যুক্তও হতে পারে। আরও ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল হতে পারে, ইতোমধ্যে ১৫ হাজারের বেশি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে।’
জানা গেছে, ৪৮ বছরে ছয়বার মুক্তিযোদ্ধা তালিকা সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে। তবুও অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি আর অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত না হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। উদ্যোগ নিয়েও একটি সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করতে পারেনি বর্তমান সরকার।
জানা গেছে, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরির আবেদন করা ও তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিরীক্ষণ এবং তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য জেলা, মহানগর ও উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটি করে সরকার কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা ত্রুটিপূর্ণ ও মনগড়াভাবে প্রতিবেদন দিয়েছে। এছাড়া কমিটির অনেকের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এ বিষয়ে আ ক ম মোজাম্মেল হক বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করার চেষ্টা করেছিলাম। তবে এই মেয়াদে এটি আর হচ্ছে না। আমরা উপজেলা থেকে রিপোর্টটা পাইনি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা মনগড়াভাবে করেছে। মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও নীতিমালাটা তারা সঠিকভাবে অনুসরণ করেনি। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই যেটা করেছি, আমাদের যে নীতিমালা অনুযায়ী যেভাবে রিপোর্ট করার কথা, যে ছক দেয়া ছিল, সেই ছক অনুযায়ী মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ আমরা পেয়েছি। ৯৭ ভাগ ক্ষেত্রে শুধু মতামত দিয়ে পাঠিয়েছে, কিন্তু কেন হ্যাঁ বা না বলব সেটা না বলে পাঠিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটি থেকে ত্রুটিপূর্ণ রিপোর্ট পাঠানোর কারণে অনুমোদিত হয়নি। পুনরায় কোনটির কী অসুবিধা সেটি তদন্ত করে জেনে উল্লেখ করার জন্য বলেছি। আমরা এই তথ্য চেয়ে আবার চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জামুকার মিটিংয়ে অনুমোদনের পর গেজেট হওয়ার কথা কিন্তু দেখা গেছে, কেউ লিখে দিয়েছে সেটার গেজেট হয়ে গেছে। নীতিমালা অনুসরণ করে যেগুলো তালিকাভুক্তি হয়নি সেগুলো বাতিল করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তালিকা করে আমরা সিল করে দেব না। সেটার জন্য একটা আইনও করতে চাই যে, এই এইভাবে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। কেউ যদি বাদ পড়ে তার প্রতি তো অবিচার করতে পারি না। এটা করার পরই বিশ্বের সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আট ধরনের বারকোড দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ তৈরি করা হবে। বাংলাদেশে হয়তো টাকা জাল করা সহজ হবে, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ জাল করা সোজা হবে না।’
বিডি২৪লাইভ/এসএইচআর/এমআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: