ফের গৃহবধূ তুলে নিয়ে ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩

প্রকাশিত: ০৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:৫০ এএম

সিলেট নগরীর জালালাবাদের হাটখোলায় সাকিনস্থ পিঠারগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে এক গৃহবধূকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গত বুধবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. হারুন-অর-রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ জানায়, গত বুধবার রাতে পিঠারগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে ওই গৃহবধূকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় আসামিরা। পার্শ্ববর্তী একটি হাওরে নিয়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে তারা। ধর্ষণে সহযোগিতা করেন মোহাম্মদ আলী ও আল আমিনসহ অজ্ঞাত আরও ৩ ব্যক্তি। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে গতকাল ৫ জনের নাম উল্লেখ্য ও অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ আসামিকে গ্রেফতার করে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩০ (রোববার) ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে অপর এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। যা ইতোমধ্যে গোটা দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ওই ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে দেশজুড়ে।

জানা যায়, গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে ওই নারী একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোট কেন্দ্রে গেলে নৌকার কয়েকজন সমর্থক তাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বলেন। তিনি তখন ধানের শীষে ভোট দেয়ার কথা বললে তাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। এ সময় তারা তাকে ‘তোর কপালে শনি আছে’ বলে হুমকি দেন। পরে তিনি কেন্দ্র থেকে দ্রুত বের হয়ে বাড়ি ফিরে যান।

পরে ৩০ (রোববার) ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে একই এলাকার ১০-১২ জন তাদের বাড়িতে এসে প্রথমে বসতঘর ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে তারা ঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্বামী ও স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে (১২) বেঁধে রেখে তারা তাকে টেনে-হিঁচড়ে ঘরের বাইরে নিয়ে পিটিয়ে আহত করে এবং দলবদ্ধ ধর্ষণ করে।

এরপর সকালে সেই নারীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তখন হাসপাতালের চিকিৎসকরা সেই নারীকে গণধর্ষণ ও পিটিয়ে জখম করার আলামত পাওয়ার কথা জানান।

এ নিয়ে পরের দিন ৩১ ডিসেম্বর সেই নারীর স্বামী চরজব্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

কিন্তু গৃহবধূর স্বজনরা অভিযোগ করেন, এই বর্বরোচিত কাণ্ডে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই রুহুল আমিনকেই আসামি করা হয়নি। এ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। সরকারের পক্ষে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও জানিয়ে দেন, গণধর্ষণের ঘটনায় কেউ রেহাই পাবে না। এ বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে।

তার প্রেক্ষিতেই বুধবার রাতে রুহুল আমিনসহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হলো। এর আগে গ্রেফতার তিন আসামি হলেন সুবর্ণচরের মধ্য বাগ্যা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে সোহেল (৩৫), মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে স্বপন (৩৫) ও একই গ্রামের আহমদ উল্লার ছেলে বাসু (৪০)।

আর শুক্রবার ভোরে পুলিশের একটি দল চট্টগ্রামের নাজিরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত জসিম নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: