এবার রোহিঙ্গাদের তাড়াতে ব্রিজ নির্মাণ করছে মিয়ানমার

প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ০১:১০ পিএম

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তমব্রু খাল সংলগ্ন কাঁটাতারের বেড়া ঘেষে ব্রিজের নামে বাঁধ নির্মাণ করছে মিয়ানমার সরকার। নির্মাণাধীন ব্রিজটি মিয়ানমারের ভেতরে হলেও আগামী বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের অংশ। এমনকি ডুবে যাবে নো-ম্যানস ল্যান্ডের রোহিঙ্গা ক্যাম্পটি। নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের কোনার পাড়া শূন্যরেখায় খালে ব্রিজ নির্মাণ করছে মিয়ানমার। রোহিঙ্গাদের শূন্যরেখা থেকে তাড়িয়ে দেয়ার কৌশল হিসেবে এই ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।

এদিকে ব্রিজ নির্মিত হলে খালে পানির স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে। সেই সঙ্গে বর্ষা মৌসুমে শূন্যরেখা, বাংলাদেশের অভ্যন্তরের কোনারপাড়াসহ কৃষিজমি পানিতে তলিয়ে যাবে। ঘুমধুম ইউনিয়নের কৃষিজীবী বাসিন্দারা এমন আশঙ্কাই ব্যক্ত করেন। তারা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্র সীমান্তের শূন্যরেখার দিকে মিয়ানমারের যেন শ্যেন দৃষ্টি।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট নির্যাতনের শিকার সাড়ে ৪ হাজার রোহিঙ্গা নিজ দেশ ছেড়ে পালিয়ে এসে এখানে আশ্রয় নেয়। তাদের সরাতে বারবার নানা অপচেষ্টা চালাচ্ছে মিয়ানমার। এর অংশ হিসেবে সীমান্তে দেশটির অভ্যন্তরে গুলিবর্ষণ, অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি, রাতে কাঁটাতার ঘেঁষে অতিরিক্ত সৈন্য সমাবেশ ঘটানো হয়েছে। তবুও শূন্যরেখা ছাড়তে রাজি নন রোহিঙ্গারা।

তাদের নেতা দিল মোহাম্মদ গণমাধ্যমকে জানান, মিয়ানমারে বৌদ্ধ, আরাকান আর্মি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এজন্য আমাদেরকে দায়ী করছে মিয়ানমার। তাই আমরা খুবই আতঙ্কিত। জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গারা জানান, প্রতিদিনই বিজিপি গুলিবর্ষণ করছে এবং তারা অন্তত ১০টি ক্যাম্প করেছে। রাতে কাঁটাতারের পাশে এসে দাঁড়িয়ে থাকে সেনাসদস্যরা। নতুন করে তৈরি করছে বাংকার।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, খালে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি নজরে এসেছে। ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে। উল্লেখ্য, তুমব্র সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাকে চিকিৎসাসহ মানবিক সহায়তা দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন, বিজিবি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা রেডক্রস।

বিডি২৪লাইভ/এসএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: