শাবনূর মুটিয়ে যাওয়ায় সিনেমার কাজ অনিশ্চিত!

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:৪৮ এএম

এক সময় চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন শাবনূর। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে চলচ্চিত্র থেকে দূরে আছেন এই চিত্রনায়িকা। চলচ্চিত্রে অভিনয় না করলেও নিয়মিত চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তিনি।

তবে তিনি চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন তা এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর পুত্র সন্তানের মা হওয়ার পর থেকেই তিনি চলচ্চিত্র থেকে দূরে রয়েছেন। চলচ্চিত্রে ফিরবেন ফিরবেন বলেও ফেরেননি। এর মূল কারণ তিনি সন্তান ও সংসারকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।

চিত্রনায়িকা শাবনূরের শারিরীক ফিটনেসের অভাবে একটি সিনেমার কাজ শেষ করতে পারছেন না নির্মাতা। অনেক দিন ধরেই শাবনূর মুটিয়ে গেছেন। চেষ্টা করেও ফিটনেস ফিরে পাচ্ছেন না। ফলে পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান মানিক পড়েছেন বিপাকে।

শাবনূরের কারণে তার ‘এত প্রেম এত জ্বালা’ সিনেমাটির কাজ তিন বছর ধরে আটকে আছে। এই শীতে শেষ হওয়ার কথা ছিল সিনেমাটির কাজ। ইতোমধ্যে এর ৭০ শতাংশ শূটিংও শেষ হয়েছে। শাবনূর ফিট নন দেখে সিনেমাটি শেষ করতে পারছেন না পরিচালক।

মানিক বলেন, সিনেমাটির শূটিং শুরু করেছিলাম ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে। এরই মধ্যে ছবির ৭০ শতাংশ শূটিং শেষ করেছি। বাকি ৩০ শতাংশ কবে শূটিং করতে পারব, বলতে পারছি না। যে কাজ বাকি আছে, তার পুরোটাই শাবনূরকে কেন্দ্র করে। তিনি ছাড়া শূটিং করা যাবে না। দুই বছর ধরে তার স্লিম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা মনে করেছিলাম, এই শীতে সিনেমাটি শেষ করতে পারব। শাবনূরও আমাকে সেভাবেই কথা দিয়েছিলেন। তবে এখন মনে হচ্ছে, কাজটি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কারণ শাবনূর এখনো আগের মতোই স্বাস্থ্য রয়েছে।

উল্লেখ্য, শাবনূর যখন যার সঙ্গেই অভিনয় করেছেন দর্শক তার চলচ্চিত্র দেখার জন্য হলমুখী হয়েছেন। সিনিয়র, জুনিয়র পরিচালকদের সঙ্গে সমানতালে কাজ করেছেন।

১৯৯৩ সাল থেকে বলা যায় প্রায় টানা পনের বছর চলচ্চিত্রে দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন। পরবর্তীতে অনেক পরিচালকের অনুরোধে ভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে নিজের অভিনয় সত্ত্বার প্রমাণ দেন।

মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘দুই নয়নের আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৫ সালে তিনি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। এটিই তার প্রথম এবং একমাত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: