ভারত যাচ্ছেন ইসি মাহবুব তালুকদার

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৪০ পিএম

চিকিৎসার জন্য ভারত যাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আলোচনায় আসা আলোচিত-সমালোচিত নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

ইসির সহকারী সচিব মো. লুৎফুল কবীর সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার চিকিৎসার জন্য ভারত যাচ্ছেন। সেখানে তিনি ১৪ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত অবস্থান করবেন। মাহবুব তালুকদারের সঙ্গে থাকবেন তার মেয়ে আইরিন মাহবুব। নির্বাচন কমিশন তার ব্যয়ভার বহন করবে।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইসির বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ (নোট অব ডিসেন্ট) করে আলোচনায় ছিলেন মাহবুব তালুকদার।

সম্প্রতি (৩ জানুয়ারি) মাহবুব তালুকদার আবার আলোচনায় আসেন। সফলভাবে ভোট অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত ইসির এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ‘এই প্রথম একটা অংশীদারি ও অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচন আমরা জাতিকে উপহার দিতে পেরেছি। আমি মনে করি, এই নির্বাচন বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে একটা ঐতিহ্য সৃষ্টি করবে।’

লিখিত বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, আমি বলেছি, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিয়েছি। ইতিপূর্বে ১৭ ডিসেম্বর আমি বলেছিলাম, ‘সব দল অংশগ্রহণ করলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলা হয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়া একটি প্রাথমিক প্রাপ্তি। আসল কথা হচ্ছে, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হচ্ছে কি না এবং বিশ্বাসযোগ্য কি না? নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য না হলে অংশগ্রহণমূলক হলেও কোনো লাভ নেই।’

মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে আমি কোনো কথা বলিনি। কেমন নির্বাচন হয়েছে, সাংবাদিকদের এহেন প্রশ্নের জবাবে আমি পূর্বেও বলেছি, নিজেদের বিবেককে জিজ্ঞাসা করুন, তাহলে এ প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবেন। এখনো আমি সেই কথা বলি। আমার অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমার ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্যকে রাজনৈতিকভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করা ঠিক হবে না।’

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘এই প্রথম একটা অংশীদারি ও অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচন আমরা জাতিকে উপহার দিতে পেরেছি। আমি মনে করি, এই নির্বাচন বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে একটা ঐতিহ্য সৃষ্টি করবে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যে এত বিশাল কর্মযজ্ঞ, এ বিষয়ে সত্যি আমার ধারণা ছিল না। কারণ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করার কোনো সুযোগ কিংবা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কাজ করার কোনো সুযোগ আমার আমলা জীবনে কখনো হয়নি। আমি বিশেষ করে লক্ষ করেছি, এই বিশাল কর্মযজ্ঞের যিনি কেন্দ্রবিন্দু, আমাদের নির্বাচন কমিশনের সচিব মহোদয় এবং তাঁর সঙ্গে এখানে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা কী নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই নির্বাচনকে সফল করেছেন। সে জন্য আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। যোদ্ধার মতোই তিনি এই বিশাল কর্মযজ্ঞে সবাইকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: