ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীর গোপনাঙ্গ কাটলেন স্ত্রী!
ঢাকার ধামরাই উপজেলায় ঘুমের ওযুধ খাইয়ে পোশাক শ্রমিক স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে দিয়েছেন তার স্ত্রী। নিজের স্ত্রী দ্বারা এমন নির্মমতার শিকার হয়ে সুমন হোসেন নামে ওই ব্যক্তিকে (৩২) সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসাপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শনিবার (১২ জানুয়ারি) রাতে ধামরাইর বালিথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সুমনের স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে (২৭) আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত ৯ বছর আগে বিয়ে হয় সুমন-মর্জিনা দম্পতির। তাদের নুর হাসান নামের ৮ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সুমন ও মর্জিনা বিয়ের পর তারা দুই জনই আলাদা-আলাদা দুটি পোষাক কারখানায় চাকরি নেন।
পরবর্তীতে কাজের সূত্র ধরে মর্জিনার সঙ্গে অনেকের পরিচিত হয়। এমন অবস্থায় তিনি প্রতিনিয়ত ওই সমস্ত লোকদের সঙ্গে মোইবাইল ফোনে কথা বলতেন।
এ বিষয়টি নিয়ে স্বামী সুমনের সন্দেহ হলে স্ত্রী মর্জিনাকে কয়েকবার কথা বলতে নিষেধ করেন। এই কারণে স্ত্রী মর্জিনা রাগ এবং ক্ষোভের বর্শবর্তী হয়ে তার স্বামীকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খেতে দেন। খাবার খাওয়ার পর প্রতিদিনের ন্যায় সুমন ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে সুমন ঘুমিয়ে পড়লে মর্জিনা ধারাল চাকু দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় সুমনের আর্তচিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে পাষাণ হৃদয়ের মার্জিনা পালাতে ব্যর্থ হন।
পরে এলাকাবাসীরা খবর দিয়ে মার্জিনাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ব্যাথা আর যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা সুমনের আত্মীয়-স্বজন এসে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সুমনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে তার স্ত্রী মর্জিনাকে অটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
বিডি২৪লাইভ/টিএএফ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: