খেলা হয় ঢাকায় জুয়া চলে এলাকায়!
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) ক্রিকেট খেলা নিয়ে সমগ্র দেশ যখন উন্মাদনায় আছে ঠিক সে মূহুর্তে পাবনার চাটমোহর উপজেলার গ্রাম গঞ্জের যুব সমাজ ব্যস্ত এই খেলা নিয়ে জুয়া খেলায়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোন ভ্রুক্ষেপ না থাকায় ক্রমশ এর বিস্তার হয়ে যুব সমাজ বিপথ গামী হচ্ছে। জুয়ায় টাকা হেরে গিয়ে অনেক যুবক চুরি ছিনতাই সহ নানা ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। ‘খেলা হয় ঢাকায় জুয়া চলে এলাকায়’ এমন পরিস্থিতি উপজেলা জুরেই।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত সপ্তাহে ঢাকায় শুরু হওয়া দেশ বিদেশের ক্ষ্যাতি নামা ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) ক্রিকেট নিয়ে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে ক্রিকেট প্রেমীদের মনে। এ ক্রিকেট ঝড় সারা দেশের ন্যায় পাবনার চাটমোহর উপজেলার সর্বত্র ক্রিকেট প্রেমী যুব সমাজের মাঝে বিরাজ করছে। এই যুব সমাজের একটি বড় অংশ এই খেলাটি জুয়ায় রুপান্তরিত করেছে। তারা খেলা দেখে জুয়ায় অংশ গ্রহনের জন্য।
এই জুয়া খেলার ধরণ হলো- প্রতি ২০ ওভারের ম্যাচে প্রতি ওভারে রানের উপর ও বলে বলে ধরা হচ্ছে টাকার বাজি। কোন খেলোয়াড় বেশি রান করবে, কোন বোলার বেশি উইকেট পাবে, কোন ব্যাটসম্যান বেশি ছক্কা মারবে, কে বেশি চার মারবে, কোন বলে চার বা ছয় হবে এবং কোন দল জিতবে এসবের উপর প্রতি মুহুর্তেই চলছে বাজিধরা। এভাবে প্রতিদিন এই উপজেলায় অর্ধ কোটি টাকার ক্রিকেট জুয়া খেলা হচ্ছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে । এই জুয়ার আসরে নতুন করে সম্পৃক্ত হচ্ছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, বেকার যুবক, রিক্সা-ভ্যান চালক, গাড়ীর স্টাফ, দোকান কর্মচারী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ।
পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান, অফিস, বাসা-বাড়ি, ক্লাব এমনকি যেখানেই টিভি সেখানেই চলছে বাজিধরা। এসব জুয়াড়িরা কৌশলগত কারনে অনেকটাই থেকে যাচ্ছে প্রশাসনের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে টিভি দেখে সহপাঠিদের সাথে ফোন, হোয়াটস্আপ, ও ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বিভিন্ন অংকের টাকা বাজি ধরা হয়। অনেকে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশে-বিদেশেও বাজি ধরে থাকেন। এভাবে উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজার ও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল ক্রিকেট জুয়ায় ভাসছে। ফলে ক্রিকেট জুয়ার ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ যুবসমাজ।
পৌর শহরের নতুন বাজার, শাহী মসজিদ মোড় এলাকা, বাস ষ্ট্যান্ড, কলেজ গেট এলাকা, হাসপাতাল রোডের ষ্টল গুলোতে, বিল চলন ইউনিয়নের রাম নগর ঘাট, বোঁথর ঘাট, মূলগ্রাম ইউনিয়নের রেলবাজার, মূলগ্রাম নিচ বাজার, আটলংকা বাজার, মথুরাপুর ইউনিয়নের বাজার এলাকা, আনকুটিয়া বাজার, ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বামনগ্রাম, কাটাখালী সহ সর্বত্রই ছেয়ে গেছে এই জুয়ার পরিধি। সচেতন অভিভাবকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছে তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে। প্রশাসনের কঠোর নজর দারিই পারে যুব সমাজকে বিপথ গামী ও ধ্বংসের হাত থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে।
এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ নাসীর উদ্দিন বলেন, এমন ধরনের জুয়া খেলার বিষয়ে আমার জানা নেই। এ বিষয়ে থানায় কেউ কখনও অভিযোগ দেয়নি। বিষয়টি যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে উপজেলার ঐ সকল পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করে জুয়ারুদের আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
বিডি২৪লাইভ/এজে
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: