‘আমি ৮ম ব্যাচ আমি বোবা এবং বোকা’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) রাস্তা ধরে বাণিজ্য অনুষদ ভবনের দিকে মুখে কালো কাপড় বেঁধে ব্যাগের পিছনে ‘আমি ৮ম ব্যাচ আমি বোবা এবং বোকা’ প্ল্যার্কাড ঝুলিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল এক শিক্ষার্থী। হঠাৎ চোখ পড়ে যায় তার দিকে। কেন তিনি এমন বেশে ক্যাম্পাসে আসলো? তার সাথে কথা বলে জানা যায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত একদিন আগে ঘটে যাওয়া জুনিয়র শিক্ষার্থীদের দ্বারা সিনিয়দের মারধরের প্রতিবাদেই এমন অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো: সাখাওয়াত হোসেন।
জানা যায়, গত ১৪ জানুয়ারি সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের একটি হোটেলে বসাকে কেন্দ্র করে ইংরেজি ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুল আলমের সাথে ১২তম ব্যাচের মাহাদি হাসান অভির সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে উভয়েই আহত হন। তবে মাহাদি একটু বেশিই আহত হয়।
ওইদিন দুপুরে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইটে খালেক টি স্টলের সামনে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদসহ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দুই পক্ষকে নিয়ে বসে। এক পর্যায়ে শাখা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী জাহিদুলকে মারতে শুরু করে। তাকে রক্ষা করতে গেলে তার বন্ধু জাহিদুল ইসলাম রুবেল, জয়নাল আবেদীন, মাহবুবুল হক শাকিল, চয়ন দাশকে মারধর করে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক রাফিউল আলম দীপ্ত, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শাখা ছাত্রলীগের উপ-মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ শাহরিয়ার, শাখা ছাত্রলীগের উপ আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল বাশার সাকিব, ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুর রহমান, কাজল হোসেন, আবীর, শ্রাবণ, আহমেদ রেজওয়ান, ওয়াকীল সহ অন্তত ২০/২৫ জন।
জানা যায়, যারা ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ম, ১১তম ও ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। কিন্তু, অভিযুক্ত সবাই প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী হওয়ায় বিষয়টিকে জোরপূর্বক মীমাংসা করে দেয় বলে জানা যায়।
মূলত এমন লজ্জাকর ও অপমানজনক কর্মের জন্যই সাখাওয়াত হোসেন এমন পদ্ধতিতে প্রতিবাদ করেছেন বলে জানান তিনি। তার এ প্রতিবাদে প্রশাসনের নজরে আসবে কি না এবং তিনি একা একা কেন প্রতিবাদ জানাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি একজন ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী। আমার ব্যাচের বন্ধুরা জুনিয়রদের হাতে মার খায় কিন্তু আমরা কোন প্রতিবাদ জানাতে পারছি না। আবার ভুক্তভোগীরা যাতে কোন প্রশাসন বরাবর বিষয়টি না জানায় তার জন্যও তাদের উপর চাপ দেয়া হয়েছে। শুধু যে একটি ঘটনা ঘটেছে এমন না, প্রতিনিয়তই জুনিয়রদের হাতে সিনিয়ররা মার খাচ্ছে। যেগুলোর প্রায় ঘটনাই সামান্য বিষয় নিয়ে বা কোন কারণ ছাড়াই ঘটছে। আমি আমার নিজ থেকেই নিজেকে বোবা ও বোকা ভেবে এ মৌন প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন বিষয়েই তেমন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এমন ঘটনা ঘটছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিডি২৪লাইভ/টিএএফ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: