প্রধানমন্ত্রীকে সমস্যার কথা বললে সমাধান পেতে পারে বিএনপি

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০২:৩০ পিএম

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন যে বক্তব্য দিয়েছেন, ভাল বক্তব্য দিয়েছেন। তাকে ধন্যবাদ যে, জামায়াতকে নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা ভুল ছিল। তার বিপক্ষে অবস্থান তার। অনেকেই তাকে ভাল বলেছেন যে, সে স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষ। সিনিয়র সিটিজেন, দেশ বরেণ্য বড় মাপের আইনজীবী। 

সোমবার (১৪ জানুয়ারি) দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশো অনুষ্ঠানে এসে এ কথা বলেন অ্যাডভোটেক শেখ সালাহ্উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে প্রকাশিত বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে। তবে যা ঘটেছে, নির্বাচনে টুকটাক বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে আসছে এটা নতুন কিছু না। বিএনপি যদি মনে করে নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে। সেক্ষেত্রে তারা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যেতে পারেন। ইতোমধ্যে তারা ইসির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। ইসি সেটা বাতিল করে দিয়েছেন। এখন তারা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যেতে পারেন, উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। যাওয়ার তো তাদের রাস্তা আছে। আইনের দরজা তো তাদের জন্য বন্ধ না।’

তিনি আরও বলেন, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী তাদের (বিএনপি) সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে চান। যদি তাদের বিষয়বস্তু দেখে বা কি এজেন্ডায় প্রধানমন্ত্রী ডাকবেন। এগুলো দেখে তারা সিদ্ধান্ত নিবেন বা বিষয়বস্তু দেখে তারা সংলাপে আসবে কি আসবে না সে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।তবে যদি তারা আসেন দেশ ও জাতির জন্য ভাল। 

এ আইনজীবী বলেন, ‘অনেকেই কিন্তু আশঙ্কায় ছিল যে নির্বাচনের পর সংঘাত বা সহিংসতা বেড়ে যায় কি না? বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট ভারাডুবি হয় বা ওই রকম বিপর্যয় ঘটে সে ক্ষেত্রে দেশের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে পারে। এ রকম মানুষের মনে শংঙ্কা ছিল কিন্তু আমরা নির্বাচনের পর দেখলাম ড. কামাল সাহেবের নেতৃত্বে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান নিয়েছে। দেখলাম তারা আইনগত ভাবেই ইসিকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এরপর তারা নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে যেতে পারেন। আমি মনে করি, তারা এখন পর্যন্ত দেশের জনগণের পক্ষে রয়েছে। সেই কথা ভেবেই প্রধানমন্ত্রী ডেকেছেন। বিএনপি গেলে তাদের সাধুবাধ জানাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেলে হয়তো বা কোন কথা বা সমস্যা থাকলে বললে সমাধান হতে পারে। আলোচনার টেবিলে অনেক কিছুই সম্ভব।’ 

এই একই টকশো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, শুভেচ্ছা বিনিময় আমার কাছে অদ্ভুত লেগেছে। নির্বাচনে ভীষণ রকম অনিয়ম হয়েছে। নির্বাচনের কয়েক দিন আগে ইউকের (UK) একটি পত্রিকার ইকোনোমিষ্টের একটি জরিপ দেখা গেছে, যে ক্ষমতাশীনরা জয়ী হতে যাচ্ছেন। ইকোনোমিষ্ট জরিপে করে বলছে, এই সরকার ক্ষমতায় থাকছেন। ইকোনোমিষ্ট বলছে, এই সরকার জনপ্রিয়, এই সরকারই থাকছেন। এই ধরনের নির্বাচন প্রহসনের নির্বাচন ছাড়া আর কিছু নয়। 

বিডি২৪লাইভ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: