মন্ত্রীত্ব না পাওয়া নিয়ে যা বললেন শাহজাহান খান

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০৪:২২ পিএম

সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও শ্রমিক নেতা শাহজাহান খান বলেছেন, সারাবিশ্ব যেখানে বলছে নির্বাচন সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠু হয়েছে। সেখানে বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলল? প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্ব নেতারা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। বিএনপি রাজনীতি থেকে বর্তমানে কোমায় চলে গেছে শুধু মাত্র তাদের দানবীয় কর্মকান্ডের জন্য।

সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশো অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বর্ষীয়ান শ্রমিক নেতা শাহজাহান খান বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে এবং সেই চেতনা লালন করে রাজনীতি করে বলে জানান তিনি। বিএনপি সন্ত্রাস ও নাশকতার রাজনীতি লালন করছে বলে জানান এই নেতা।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র বিশ্বাস করি বলেই বলছি, তাদের কথায় (বিএনপি) কারচুপি হয়েছে, ধরে নিলাম তর্কের খাতিরে কারচুপি হয়েছে। তবে কেন, জনগণ তাদের কথায় নির্বাচনী কেন্দ্রে পাহারা দিতে গেল না? বিএনপির প্রতি দেশের মানুষের আস্থা নেই। ২০১৪ সালে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার মাধ্যমে তারা (বিএনপি) যে নাশকতা করেছে, এর ফলে তাদের সমর্থন সারাদেশে কমে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ শুধু শেখ হাসিনার প্রতিই আস্থাশীল। কারণ দেশের মানুষ উন্নয়ন চায়। আর তা দিতে পেরেছে শেখ হাসিনার সরকার।

তিনি আরও বলেন, মন্ত্রীত্ব না পাওয়া নিয়ে আমার মাঝে কোন হতশা নেই। আমি শ্রমিক নেতা পরিচয় দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। ২০১৩ সালে সারাদেশে গার্মেন্টেস শিল্পের শ্রমিকদের মাঝে যে অস্থিরতা ও নাশকাতা চলছিল, সেই দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী আমাকে দেয়ার পর তা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। তা সারাদেশবাসী দেখেছে।

তিনি আরও বলেন, নতুনদের সুযোগ করে দেয়ার জন্যই প্রধানমন্ত্রী পুরনোদের বাদ দিয়েছেন। এখানে ভালো খারাপের জন্য কাউকে বাদ দেয়া হয়নি।

নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে দাবি করে এই নেতা বলেন, এটা তাদের (বিএনপি) রাজনৈতিক স্ট্যানবাজী। তারা কী এমন করেছে যে জনগণ তাদের কথায় মাঠে নামবে এবং ভোট দিবে। যখন ক্ষমতায় ছিল সন্ত্রাস ও নাশকতা ছাড়া আর কিছু করতে পারেনি। দেশের উন্নয়নের পরিবর্তে নিজেদের আখের গুছিয়েছে ও দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিল বিএনপি-জামায়াত সরকারের শাসনআমল। সে জন্যই তাদের কথায় ভোটের দিন মাঠে কোন কর্মী সমর্থক ছিল না। এখন অযথাই আওয়মী লীগের উপর দোষ চাপাচ্ছেন দাবি সাবেক এই মন্ত্রীর।

বিডি২৪লাইভ/এসবি/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: