উপজেলা পরিষদের মধ্যেই ডিএনসিসির নির্বাচন

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৪২ পিএম

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচন ও সম্প্রসারিত অংশের কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে হাই কোর্ট রুল খারিজ করে দেওয়ার পর ভোটের জন্য প্রস্তুত রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ভোটের পুনঃতফসিল দিয়ে মার্চের শুরুতে ভোট করতে চায় সাংবিধানিক সংস্থাটি।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, আগের প্রার্থীদের বহাল রেখে পুনঃতফসিল দেওয়া হবে। নতুন প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য ১০ থেকে ১২ দিন সময় দেওয়া হবে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে তফসিল দিয়ে মার্চের শুরুতে ভোট দেওয়ার প্ররিকল্পনা ইসির রয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা রায়ের কপি পেলে কমিশন বৈঠকে বসব। এর আগে কিছু বলতে পারছিনা। তবে ভোট করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।

নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, মার্চে উপজেলা পরিষদের ভোট রয়েছে। এ ভোটের মাঝখানে যে কোন সময় ভোট করা হবে। ভোটের জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি রয়েছে। এ কারণে তেমন সমস্যা হবে না। ইসি ভোটের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

জানা যায়, আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন রেখে তফসিল দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

ওই তফসিলের বৈধতা চ্যালঞ্জ করে এবং তফসিলের কার্যকারিতার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।

তাদের আবেদনের ওপর শুনানি করে গত বছর ১৭ জানুয়ারি বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাই কোর্ট বেঞ্চ নির্বাচন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে দেয়।

ওই নির্বাচনের তফসিল কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করা হয়।

হাই কোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে গেলে সেখানে হাই কোর্টের দেওয়া রুল ‘দ্রুত নিষ্পত্তির’ আদেশ আসে। পরে স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।

এর ধারাবাহিকতায় বুধবার বিষয়টি রুল শুনানির জন্য বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চে ওঠে। কিন্তু রিটকারী বা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কেউ আদালতে না থাকায় আদালত রুল খারিজ করে দেয়।

ইসি সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আবুল কাশেম ও ঢাকা দক্ষিণে রকিব উদ্দিন মন্ডলকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছিল। তারা বহাল থাকবেন।

ডিএনসিসি মেয়াদ ২০২০ সালের ১৩মে পর্যন্ত রয়েছে। ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডিএনসিসির নতুন মেয়র এবং দুই সিটির ৩৬টি নতুন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মেয়াদ হবে দুটি সিটি কর্পোরেশনের ওই মেয়াদ থাকা পর্যন্ত। উপ-নির্বাচন জয়ীরা বাকি এ মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবেন।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোট হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন আনিসুল হক। প্রায় দুই বছর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্যেই যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গেলো ৩০ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়। এরপর ১ ডিসেম্বর মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: