সারাদেশে সুষম উন্নয়ন হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০৫:৪৪ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিজয় পাওয়া যত কঠিন, সেই বিজয় রক্ষা করে জনগণের সেবা করা আরও কঠিন। আমাদের ওয়াদা বাংলাদেশেকে আমরা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত করবো। আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। সারাদেশে সুষম উন্নয়ন হবে। দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করে যাবে সরকার, যে বিজয় অর্জিত হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে।

শনিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশে সভাপতির বক্তৃতাকালে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। ৩০ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় উদযাপনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

&dquote;&dquote;

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটকে বিজয়ী করেছে। আমরা দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করব।’

তিনি আরও বলেন, দায়িত্ব যখন নিয়েছি, সরকার গঠন করেছি। এরপর দেশের প্রতিটি নাগরিক আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সবার সেবা করবে সরকার। যারা ভোট দিয়েছেন অথবা দেন নাই তাদের সবার জন্যই কাজ করবে সরকার।

সমাবেশে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ দীর্ঘদিন পর স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। আমি মা-বোন, নারীদের, তরুণ প্রজন্মকে, এদেশের কৃষক-শ্রমিক-কামার-কুমার-তাঁতীসহ সর্বোস্তরের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই; যারা আমাদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা, যারা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন, যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা নিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনসহ তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

&dquote;&dquote;

তিনি আরও বলেন, মনে রাখতে হবে। আমরা এই দেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলবো। এটাই আমাদের অঙ্গীকার। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করবো। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের রায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধেম, মাদকের বিরুদ্ধে। শেখ হাসিনা বলেন, বিজয় অর্জন করা কঠিন। রক্ষা করা আরও কঠিন।

বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে ভাষণ শুরু করেন শেখ হাসিনা। তিনি প্রথমেই ৩০ লাখ শহীদ, স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনে শহীদ, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এর আগে শেখ হাসিনা রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ‘বিজয় উৎসবের’ মঞ্চে এসে পৌঁছান ৩টা ৫ মিনিটে। প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে বাংলাদেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের অনেক ঘটনার সাক্ষী সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

বেলা সাড়ে ১২টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরুর পর সংগীত পরিবেশন করেন লোকশিল্পী শাহে আলম, সংগীতশিল্পী রফিকুল আলম, স্পন্দন শিল্প গোষ্ঠীর শিল্পী জানে আলম। গান পরিবেশন করেন ফাহমিদা নবী, মমতাজসহ দেশবরেণ্য শিল্পীরা।

বেলা আড়াইটার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। শুরুতেই পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠ করা হয়। এরপর প্রথম বক্তব্য দেন ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।

&dquote;&dquote;উৎসবে যোগ দিতেই আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে সকাল থেকেই ছিল জনস্রোত।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: