টিআইবির প্রতিবেদন কেন প্রশ্নবিদ্ধ? যা বললেন সুলতানা কামাল
টিআইবির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে সরকারী দলে যারা থাকে তারা বলে নাউজিবিল্লাহ, আর বিরোধীদল বলে আলহামদুলিল্লাহ। কিন্ত আমি আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে, যারা এখন সরকার আছে, যে পাঁচবার বিএনপি দুর্নীতিতে চাম্পিয়ন হয়েছে এটা কিন্ত তারা জোড় গলায় বলে। কিন্ত সেই সময়ে যদি টিআিইবির প্রতিবেদনে প্রসংশসা করেন। সেই প্রতিবেদনের ক্রেডিবিলিটি থাকে, তাহলে কেন আওয়ামী লীগ আজ এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করল?
তিনি বলেন, এখন কেন বলছেন, টিআইবির প্রতিবেদনের ক্রেডিবিলিটি নেই। এটা তো একই প্রতিষ্ঠান, এমনটা হওয়ার কথা না। কারণ সেই সময় তো ক্ষমতায় বিএনপি ছিল। তাদের যে পারফরমেন্স ছিল সেটার উপরে প্রতিবেদন করা হয়েছিল।
মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেন, এখানে তো সরকারের ভূমিকা নিয়ে কথা বলা হয়নি। এখানে মূলত নির্বাচন কমিশনের কথা বলা হয়েছে। ইসি আসলে কিভাবে এ নির্বাচন পরিচালনা করলেন? এখানে আমরা কিন্ত পর্যবেক্ষণ বলছি না, এখানে পর্যালোচনার কথা বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এটা ছিল একটা সামাজিক গবেষণা, এটা কোনো পিএইচডি গবেষণা না, এটা কোনো ডিগ্রী পড়ার গবেষণা না। সেটার মেথোটালোজি আর সামাজিক মেথোটালোজির মধ্যে কিন্তু ভিন্নতা থাকে। সামাজিক গবেষণার যে মেথোটালোজি (পদ্ধতি) সেটার বিষয়ে কিন্তু আমরা একশত ভাগ আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি। এটা আন্তর্জাতিক পদ্ধতির নিয়ম মেনেই পর্যালোচনাটা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পর্যালোচনার এ বিষয়গুলো সবার কাছেই খুব উম্মুক্ত ছিল। যে কারণে হোক, কোনো পক্ষের হয়ে দোষ, গুণ নিয়ে আমরা কথা বলিনি। এটা বিরোধীদলে যারা ছিলেন, কিংবা বিরোধীদলের পক্ষ থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের দোষও হতে পারে কিন্তু দেখা গেছে, তাদের সেখানে কোনো প্রচার-প্রচারণাও ছিল না। তাদের কোনো সভা-সমিতি হতে পারেনি। আমি আবারও বলছি এটা তো তাদের দোষও হতে পারে। আমি পত্রিকা থেকেই বলছি। অন্য মাধ্যমেও পাচ্ছি, সরকারের কাছ থেকেও পাচ্ছি। মানে তাদের দলের একেবারে উঁচু থেকে নিচু পর্যন্ত দেখছি নেতা-কর্মীরাও গ্রেফতার হচ্ছে কিংবা গ্রেফতারের ভয়ে বাড়ি ছেড়েও পালিয়ে থাকছেন। কাজেই এটা তো সর্বসমক্ষেই সবার সামনে প্রতিষ্ঠিত একটা ব্যাপার কিন্তু তারা সমান সুযোগ পাননি। হয় পাননি অথবা তারা নিতে পারেনি। পেলে নিলেন না কেন? না পেলে নিলেন না কেন? নিতে পারলেনই না বা কেন? এই বিষয়গুলোর প্রশ্নটাই আমরা তুলে ধরেছি। যে বিষয়গুলোর প্রতি নির্বাচন কমিশনের দেখার উচিত ছিল। যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, নির্বাচন কমিশন এখানে উভয়ের প্রতি একটা নিরেপক্ষ ভূমিকা নেবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে তারা কিন্তু সেটা শতভাগ করেননি।
সুলতানা আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন এখানে যথেষ্ঠ কার্যকর ভূমিকা নিয়েছেন কিনা? প্রতিদ্বন্দ্বিদের সমান সুযোগ দিতে, সেটাই আমাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল।
নির্বাচনী দিনের যে অভিযোগটি বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট করেছে, ভোট শুরুর আগেই ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। ভোটের আগের রাতেই ভোট দিয়েছে এবং বাক্স ভরে নিয়ে এসে ভোট দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি সুলতানা কামাল বলেন, ওইখানে আমরা বলেছি যে, ২২টা আসনের একাধিক কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ভরার যে অভিযোগ এসেছে এবং ভুয়া ভোটের বিষয়ে বলা হয়েছে। এখানে যারা এখনও ভোটার হয়নি তারা ভোট দিরেছে। এটা যে পরিবারের ছোট ছেলে-মেয়েরা ভোট দিয়েছে সেই পরিবারেই কথা, আমদের নয়।
তিনি আরও বলেন, আমি এখানে একটা কথা বলতেই চাই। আমার পরিবারের অধিকাংশ মানুষ কিন্তু নৌকার সাপোর্টার। পরিবারগত ভাবে আমার পরিবার সমর্থন করে আসছে নৌকাকেই। আমার বাড়ির অনেক মানুষ ভোট দিতে পারেননি। ভোট দিতে গিয়ে দেখে তাদের ভোট দেওয়া হয়ে গেছে, তারা বলছে আমি তো নৌকায় ভোট দিতাম যাইহোক ভোট তো দেওয়া হয়ে গেছে। আরেকজন সদস্য ভোট দিতে গিয়েছে দুপুর বেলা, গিয়ে দেখে কেন্দ্র বন্ধ। এ ধরনের ঘটনাগুলো কিন্তু ঘটেছে।
ভোটের দিনে কোন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে সুলতানা কামাল বলেন, আমরা কোনো পর্যবেক্ষণ করিনি। আমাদের ভোটের আগের পরিস্থিতি এবং ভোটের দিনের যে বিষয়গুলো ছিল এগুলো শুধু পর্যালোচনা করেছি।
বিডি২৪লাইভ/এসএ/এমআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: