সব দেখছেন প্রধানমন্ত্রী, পদের আশায় তারা

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ০৫:৫৯ পিএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর সদ্য গঠিত মন্ত্রিসভা নিয়ে বড় সড় ধাক্কা খেয়েছেন আওয়ামী লীগের ডাকসাইটের নেতারা। এবার অপেক্ষায় আছেন সংসদের বেশ কিছু পদ নিয়ে। যদি এখানেও স্থান হয়, তবু স্থানীয় নেতাদের বুঝাতে সক্ষম হবেন নিজের অবস্থান দলে এখনও ফুরিয়ে যায়নি। এবিষয়ে গণমাধ্যমে নিজেদের কোন কথা বলছেন না। তবে নতুনদের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে, এটা মেনে নিয়েছেন সিনিয়ররা এবং নতুনদের স্বাগত জানাতে কৃপণতা করছেন না দলটির শীর্ষ নেতারা।

জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বা সংসদ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বিরোধীদলীয় নেতা, উপনেতা ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ নির্ধারণ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার বরাবর চিঠি দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। শুরু হয়েগেছে ক্ষমতাসীন দলের কারা হচ্ছে সংসদ উপনেতা, ডেপুটি স্পিকার, চিফ হুইপ ও হুইপের পদ। এই পদ পেতে মরিয়া আওয়ামী লীগের মধ্যম সারির নেতারা। দলের মাঝে চলছে এই মুহূর্তের একমাত্র আলোচনা।

উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সংসদীয় সভায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে সর্বসম্মতিক্রমে সংসদ নেতা পুনঃ নির্বাচিত করেছেন। সংসদ নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর গত ৭ জানুয়ারি নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের বরাতে জানা গেছে, ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মোটামুটি জাতীয় সংসদের স্পিকার হচ্ছেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী নির্বচনী সমাবেশে রংপুরবাসিকে বলেছেন, সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় সে (শিরিন শারমিন চৌধুরী) আমার চেয়ে বড় পদ বহন করে। আল্লাহ যদি আপনাদের সেবা করতে দেয়, শিরিন আবারও স্পিকার হবে। ডেপুটি স্পিকার হিসেবে অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার বাদ পড়ছেন এটা নিশ্চিত। ডেপুটি স্পিকার হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন একাধিক নেতার নাম। তাদের মধ্যে উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদের নাম জোরালো ভাবে শোনা যাচ্ছে। একই সঙ্গে সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরুর নাম ভাসছে বাতাসে।

এদিকে, এক রকম নিশ্চিত শারীরিক অসুস্থতা ও বার্ধক্যজনিত কারণে সংসদ উপনেতার দায়িত্ব পাচ্ছে না আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বর্ষিয়ান নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে আস্থাভাজন, বিশ্বস্ত ও জনমনে সৎজন বলে পরিচিত সফল কৃষিমন্ত্রী সংসদ উপনেতা হচ্ছেন বলে জানাগেছে। এছাড়াও বর্ষিয়ান নেতা সফল বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের নামও শোনা যাচ্ছে।

জানা গেছে, পরিবর্তন হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের চীফ হুইপের পদ। দশম সংসদে চিফ হুইপ ছিলেন আ স ম ফিরোজের কার্যক্রমে সন্তুষ্টু নয় দলের শীর্ষ নেতা। একাদশ জাতীয় সংসদে সরকারদলীয় চিফ হুইপ হতে পারেন মাদারীপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন। উনি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নে। হুইপ হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব পেতে পারেন জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজম ও নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার।

বিগত সংসদে দায়িত্বে থাকা সরকারদলীয় হুইপ পদ থেকে বাদ পড়তে পারেন দুজন। সেখানে একাদশ জাতীয় সংসদে সরকারদলীয় হুইপ হিসেবে আসতে পারেন চট্টগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এবং জয়পুরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।

নেতাদের দাবি, এবার সব কিছু দেখছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদীয় দলের সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা হিসেবে সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত করেছেন। সংসদীয় দলের সভায় সংসদ নেতাই উপনেতা, চিফ হুইপ ও হুইপ নির্বাচিত করবেন।

বিডি২৪লাইভ/এসবি/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: