মানুষ এত নিষ্ঠুর হয়!

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:১৮ এএম

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশনের হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে মুরগি চুরির অপবাদ দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমজাদের নেতৃত্বে রুবেল (১৪) নামের এক কিশোরকে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত ১৫ নভেম্বর এই ঘটনা ঘটলেও নির্যাতনকারীদের হুমকি আর আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে ওই কিশোরের পরিবার মামলা করতে পারেনি। তবে নির্যাতনের দৃশ্য ফেসবুকে ভাইরাল হলে ঘটনার একমাসের বেশি সময় পর শনিবার পুলিশ ওই কিশোরের মাকে ডেকে নেয়। পরে  হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আমজাদ হোসেনসহ ৬ জনকে আসামি করে শশীভূষণ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নির্যাতিত রুবেলের মা বিলকিছ বেগম বলেন, রুবেল জেলে নৌকার বাবুর্চি। ঘটনার আগের দিন বনভোজন খাওয়ার জন্য রুবেলসহ বেশ কয়েকজন মুরগি কিনে আনে। সেই মুরগি চুরি করে আনা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয় মেম্বার। পরে ১৫ নভেম্বর মুরগি চুরির অপবাদ দিয়ে মেম্বার বাড়ি থেকে রুবেলকে ডেকে নিয়ে ৭নং ওয়ার্ডের হাজারীগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গ্রামবাসীর সামনে বেঁধে মারধর করেন।

তিনি জানান, একদিকে রুবেলকে পেটানো হয়, অন্যদিকে টাকার জন্য তার কাছে খবর পাঠানো হয়। পরে তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদারের কাছে গেলে মেম্বারকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে নেয়ার কথা বলেন। পরে নিরুপায় হয়ে বিলকিছ বেগম নাকফুল আর গলার গহনা বন্ধক রেখে ৫ হাজার টাকা এনে মেম্বার আমাজাদ হোসেনকে দিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে নেন।

বিলকিছ বেগম বলেন, ঘটনার পর অর্থাভাবে ছেলের চিকিৎসা করাতে পারিনি। এছাড়াও মেম্বারের হুমকির কারণে মামলাও করতে যাইনি। পরে থানায় ডেকে নিয়ে মেম্বারসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা নেয়।

এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত মেম্বার আমজাদ হোসেন বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমি মুরগি চুরির কঠিন বিচার করেছি। বিচার করতে গেলে একটু আধটু মারধর করতেই হয়।

তবে চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদার দাবি করেন, ঘটনা প্রসেঙ্গ তিনি কিছুই জানতেন না। নির্যাতনের পর রুবেলের মা তাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

শশীভূষণ থানার উপপরিদর্শক মামালার তদন্ত কর্মকর্তা পবিত্র কুমার জানান, এই ঘটানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সূত্র: সমকাল।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: