জাতিসংঘের বক্তব্য গুরুত্ব বহন করে না

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ০১:৪৫ পিএম

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, বিএনপি আটটি সিট পেল তা নিয়ে সকলেই আশ্চর্য হয়েছে। কিন্তু তার মানে এই না যে নতুন করে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন যথাযথ হয়নি জাতিসংঘের এমন বক্তব্য খুব গুরত্ব বহন করে না। তারা নানা রকম সাজেশন করে। তাই বলে সব কথা তাদের শুনতে হবে?

২০১৪ সালে সরকার নির্বাচন করে পাঁচটি বছর খুব সুন্দর ভাবে শেষ করেছে। এবারও শেষ করবে কোন সন্দেহ নেই। পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্র আমেরিকাতেও ট্রাম্পের অবস্থার কথা ভাবেন। কোন নির্বাচন বিতর্কের বাইরে নয়। তবে সুষ্ঠু হয়েছে বলে আমি মনে করি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আরও বলেন, বিজয় উদযাপনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল সংক্ষিপ্ত কিন্তু তাৎপর্যপূর্ন ছিল। রাজনীতি ভোগের বিষয় নয় ত্যাগের। নতুন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের এই মেসেজ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভাষা বুঝেন যা বঙ্গবন্ধু বুঝতেন।

স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রত্যাখান করেছে এবং উন্নয়নের পক্ষে জনগণ রায় দিয়েছে। এই দুটো বিষয়ের উপর প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য জাতির সামনে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, আমি সকলের প্রধানমন্ত্রী। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে।

সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশো অনুষ্ঠানে আলোচক হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

হারুণ বলেন, বিএনপিতো কোন রাজনৈতিক দলই নয়। বেশ কিছু দলছুট লোকরা একত্রে মিলিত হয়ে একটি সংঘঠন করেছে। এদের কোন আদর্শ নেই। যার জন্য এত বড় ভরাডুবি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। বিএনপি বা অন্যকোনো বিরোধীদলকে সংখ্যার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী মূল্যায়ন করবেন না বলে আমি মনে করি। কেননা তিনি এখন আলাদা উচ্চতায় চলে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী এবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাবে। তা উনার নতুন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান ড. সাদাত হোসোন বলেন, দুর্নীতি মুক্ত দেশ বিনির্মানের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই আমি চাইবো সরকারের লোকজন যেন নতুন করে কোন কিছু দখল না করেন। এটা উন্নয়নের জন্য প্রতিবন্ধকতা বলে আমি মনে করি। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে সুশাসনের কথাই বলেছেন।

বিরোধী পক্ষদের নিয়ে কোন সমালোচনা করেনি প্রধানমন্ত্রী এবিষয়ে আপনার মূল্যায়ন চাচ্ছি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিরোধীদল যদি চ্যালেঞ্জিং না হয় তবে তাদের প্রতি বৈরি আচরণ করে কোন লাভ নেই। বরং তাদেরকে আস্থায় নিলে দেশের জন্য ভাল হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রী আলাদা উচ্চতায় চলে গেছেন বলেই আমি মনে করি। তৃতীয় বারের মত প্রধানমন্ত্রী হওয়া আমাদের দেশে সহজ বিষয় নয়। উনার আর কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই।

এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর "বিরোধী দল যত ছোটই হোক না কেন, আমি সকলের প্রধানমন্ত্রী। বিএনপি এবার সংযত আচরণ করছে। যা বিগত নির্বাচনের পর করেনি।" এই বক্তব্য তুলে ধরে বলেন। এতে করে আমি মনে করি রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ হবে। যা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেই ফুটে উঠেছে।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতি করলে ইতিবাচক ভাবে করতে হবে। যা সরকারি দল ও বিরোধী দলের মাঝে ফুটে উঠবে, প্রধানমন্ত্রী তাই চাচ্ছেন। কিন্তু রাতারাতি রাজনীতিতে নতুন মেরুকরন আসবে তা বলছি না। তবে প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ হোক।

সাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ যে ক্ষমতায় আসবে তা বিভিন্ন তথ্যেই পাওয়া যাচ্ছি ছিল। এত বড় পরাজয়ের পর বিএনপি কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে গেছে। আসলে কি হয়েছে? প্রধানমন্ত্রীও তাদের আস্থায় নিতে চাচ্ছে। যে কয়েকজন সংসদ সদস্য হয়েছেন, তারা যেন সংসদে আসেন। সে জন্যই প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের প্রতি বৈরি আচরন করতে না করেছেন।

সর্বশেষে সাদাত হোসেন বলেন, আরও কিছু আসন পাবে ভেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কিন্তু কেন পেল না তা কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। এবং তার নেতৃত্বে এবার নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর প্রধানমন্ত্রী মনে করেন সকলকে নিয়েই দেশ পরিচালনা করতে হবে। দেশ সকলের এ বিষয়টা মাথায় রাখতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা ইতোমধ্যে দিয়েছেন।

বিডি২৪লাইভ/এসবি/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: