মৃত্যুর আগে যে আকুতি জানিয়েছিলেন বুলবুল

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৩৯ এএম

বাংলা সংগীত জগতের কিংবদন্তি গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আর নেই (ইন্না লিল্লাহি অইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

আজ মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ভোর ৪টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর আফতাবনগরে নিজ বাসায় তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। রাতে হার্ট অ্যাটাক করলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে রাজধানীর মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গণমাধ্যমে এ খবরটি নিশ্চিত করেন তার ছেলে সামির আহমেদ।

কিংবদন্তি এই সংগীতজ্ঞ জীবনের শেষ ফেসবুক স্ট্যাটাসে তাকে ভুলে না যাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন।

চলতি মাসের ২ই জানুয়ারি সকালে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেন, ‘আমাকে যেন ভুলে না যাও… তাই একটা ছবি পোস্ট করে মুখটা মনে করিয়ে দিলাম।’

কিংবদন্তি গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল তাকে এ ভুলে না যাবার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি শেয়ার হয়েছে ২১৭ বার এবং এতে মন্তব্য করা হয়েছে প্রায় ১২শ বার।

১৯৭১ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে বুলবুল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাইফেল হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন রণাঙ্গনে।

মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ স্মৃতি নিয়ে বহু জনপ্রিয় গান লিখেছেন এবং সুর করেছেন। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালে জামায়াত নেতা গোলাম আযমের বিরুদ্ধে করা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ্যের অন্যতম সাক্ষী ছিলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।

প্রসঙ্গত, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল বাংলাদেশের বিখ্যাত সংগীত ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং সংগীত পরিচালক। ১৯৭০ দশকের শেষ লগ্ন থেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্প বা ঢালিউডসহ সংগীত শিল্পে সক্রিয় ছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কার-সহ অন্যান্য অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বুলবুল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাইফেল হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন রণাঙ্গনে।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: