বাবাকে যেখানে দাফন করার আকুতি জানালেন বুলবুল পুত্র

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৩২ এএম

সবাইকে জাগিয়ে গত মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে চিরতরে ঘুমিয়ে গেছেন প্রখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।

তার মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ পুরো শোবিজ অঙ্গন। এই কিংবদন্তির চলে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে তার বাসায় ছুটে যান দেশবরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও শোবিজ অঙ্গনের অনেকে।

রাজধানীর আফতাব নগরে তার বাসভবনটি শোকের চাদরে ঢাকা পড়েছে। একমাত্র পুত্র সামির বাকরুদ্ধ হয়ে আছেন। তার চোখে জল নেই। কারও সান্তনারও প্রয়োজন পড়ছে না।

নিজ বাসায় আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের একমাত্র ছেলে সামীর আহমেদ মুন বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘আমার বাবা কিশোর বয়সে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আজীবন তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করেছেন। স্বাধীনতা বিরোধীদের শাস্তির জন্যও তিনি সোচ্চার ছিলেন। সে জন্য তাকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। দেশের গান করে মানুষের মধ্যে দেশপ্রেমের উৎসাহ ছড়িয়েছেন তিনি সারাজীবন। এখন তো স্বাধীনতার চেতনাকে লালন করা দল সরকারে আছে। তাদের কাছে আমি বাবার জন্য মিরপুর বুদ্ধিজীবী করবস্থানে এক টুকরো চিরস্থায়ী জায়গা চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, বাবাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত স্থানে আমার বাবাকে যেন দাফন করা হয়। সবাই যেন সেটা দেখতে পায়। এমন একটা কিছু করা হোক যেন দেশবাসী ওনাকে স্মরণ করতে পারেন।’

বুলবুল পুত্র সামির বলেন, ‘আমি দেখেছি বাবাকে সবাই একজন ভালো মানুষ হিসেবে, সাহসী দেশপ্রেমিক শিল্পী হিসেবে সম্মান করেন। সেজন্য আমি সরকারের কাছে দাবি করছি তাকে যেন বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। সেইসঙ্গে তার কবরটি যেন শুধুমাত্র তার জন্যই বরাদ্দ করা হয়। লোকে যেন খুব সহজেই বাবার কবরটি শনাক্ত করতে পারে। তার ছেলে হিসেবে আমি দেশ ও দেশের সরকারের কাছে আমার বাবার জন্য স্থায়ী একটা কবর চাই।’

অনেকদিন ধরেই হার্টের অসুখে ভুগছিলেন কিংবদন্তি সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। অবশেষে হার্ট অ্যাটাকেই জীবনের অবসান ঘটলো তার।

বিডি২৪লাইভ/আইএন/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: