বঙ্গোসাগরে ২ জাহাজ ডুবি

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০৪:১৮ পিএম

চট্টগ্রাম বন্দরে সন্দ্বীপ চ্যানেল ও হাতিয়ার মাঝামাঝি ভাসানচরে খাজা বাবা ফরিদপুরী এবং এন ইসলাম নামে দুটি পণ্যবোঝাই জাহাজ ডুবে গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে একঘণ্টার ব্যবধানে কাছাকাছি জায়গায় দু’টি জাহাজ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। এসময় জাহাজ দুটিতে থাকা ২০ নাবিকের মধ্যে ১৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। একজন নাবিক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

জাহাজডুবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লাইটার জাহাজ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের সচিব মাহবুব রশিদ খান।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, খাজা বাবা ফরিদপুরী জাহাজটি ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে নারায়ণগঞ্জে যাচ্ছিল। ভাসানচর বয়ার এক নটিক্যাল মাইল পূর্বে গিয়ে জাহাজটি ডুবে যায়। জাহাজে ১৩ জন নাবিকের মধ্যে ১২ জন উদ্ধার হলেও একজন এখনও নিখোঁজ আছেন।

তিনি বলেন, আমাদের নির্দেশনা আছে কমপক্ষে তিন ঘণ্টার জোয়ারের সময় হাতে নিয়ে যেন ভাসানচর অতিক্রম করা হয়। জাহাজটি দেড় ঘণ্টা সময় নিয়ে ভাসানচর অতিক্রম শুরু করে। স্বাভাবিকভাবেই জোয়ারের পানি কমতে শুরু করলে ভাটার টানে জাহাজটি ডুবে যায়।’

অন্যদিকে, ভাসানচরের কাছাকাছি এলাকায় আরেকটি জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে ‘এন ইসলাম’র তলা ফেটে গিয়ে সেটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে জানা যায়।

বিআইডব্লিউটিসি’র উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, তলা ফেটে জাহাজটি যখন ডুবে যাচ্ছিল, ক্যাপ্টেন সেটিকে চরের কাছাকাছি নিয়ে গেলেও জাহাজটির বড় অংশ ডুবে গেছে। তবে এই জাহাজটির সব নাবিক নিরাপদে আছেন।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: