‘আমি এখানে থাকব না, চলে যাব’
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে কারাগার থেকে আদালতে বসানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এসময় তিনি বলেন- ‘আমি তো কিছুই দেখছি না। আমি তো আপনাকেও (বিচারক) দেখছি না। এই দেয়াল তো এর আগে ছিল না, এখন কোথা থেকে এলো। আমি এখানে থাকব না, আমি এখান থেকে চলে যাব।’
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) আদালতে প্রবেশ করার পর বিচারককে উদ্দেশ করে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। আদালতে যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বসানো হয়, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি এসব কথা বলেন।
আদালতে এজলাসের বামপাশে পেশকারের পেছনে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় খালেদা জিয়াকে বসানো হয়। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারককে উদ্দেশ করে খালেদা জিয়া বলেন, আমাকে কাঠগড়ায় ঢোকাতে চাচ্ছেন? এতেও আমি রাজি আছি। এ সময় বারবারই খালেদা জিয়াকে বলতে শোনা যায়- আমি এখান থেকে কিছুই দেখতে পারছি না।
এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, আমিনুল ইসলাম ও মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বিচারককে বলেন, কেন তাকে (খালেদা জিয়া) পৃথক করছেন? আপনি সিদ্ধান্ত দিয়ে তাকে সামনে নিয়ে আসেন। তাকে পৃথক রাখার কোনো সুযোগ নেই।
এ সময় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আদালত তো এভাবেই নির্মিত। নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে ওই জায়গায় বসানো হয়েছে।
এরপর বিচারক বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার বলেন, বসার জন্য আগামীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে উপস্থিত হন তিনি।
এর আগে ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার দিন ধার্য ছিল। তবে অসুস্থ থাকায় ওই দিন তাকে আদালতে হাজির না করে আদালতে কাস্টডি ওয়ারেন্ট পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ।
কাস্টডি ওয়ারেন্টে উল্লেখ করা হয়, খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ, তাই তাকে আদালতে উপস্থিত করানো যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানিকে (গ্যাটকো) পাইয়ে দেয়া হয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। ২০০৮ সালের ১৩ মে তদন্ত শেষে দুদকের উপপরিচালক জহিরুল হুদা খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। তাদের মধ্যে ছয় আসামি মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যথাক্রমে ১০ এবং সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন খালেদা জিয়া।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়েছে।
বিডি২৪লাইভ/এআইআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: