ইউটিউবের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ জায়েজ?

প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৫৪ এএম

অনলাইনে আয়ের হাজার হাজার পদ্ধতির মধ্যে ইউটিউব থেকে আয় একটি জনপ্রিয় উপায়। বর্তমানে তরুণ সমাজের আয়ের অন্যতম মাধ্যম এটি। তবে আমাদের মুসলিমদের মনে একটি প্রশ্ন থেকেই যায়, সেটি হলো ইউটিউবের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ কি জায়েজ?

প্রশ্ন: আমার একটি ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। এতে ভালো মানের এবং অশ্লীলতামুক্ত বিভিন্ন ভিডিও আপলোড করে থাকি। আমার প্রশ্ন হলো, এভাবে ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে যদি আমি টাকা আয় করি, তাহলে সেগুলো জায়েজ হবে?

উত্তর: ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে টাকা আয়ের বিষয়টি ইদানিংকালে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। তবে গুরুত্ব ও কর্তব্যের বিষয় হলো, যদি এভাবে কোনো টাকা আয় হয়—তাহলে সেগুলোর সোর্স কী, সেটা ভেবে দেখা।

প্রসঙ্গত গুগলের একটি বিশেষ সার্ভিস হলো ‘গুগল এডসেন্স’। অর্থের বিনিময়ে তারা বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন ইউটিউবসহ অন্যান্য ওয়েবসাইটে প্রচার করে থাকে। আর সে অর্থের একটি নির্দিষ্ট অংশ তারা ইউটিউবারদের দিয়ে থাকে।

সুতরাং বিজ্ঞাপনগুলো যদি অশ্লীল হয় কিংবা হারাম পণ্যের হয়, তাহলে প্রাপ্ত অর্থ হালাল হবে না। উপরন্তু হারামের প্রচার ও সহযোগিতার কারণে গোনাহগারও হতে হবে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, নিশ্চয়ই তাদের জন্য ইহকালে ও পরকালে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি’।  (সুর নুর, আয়াত : ১৯)

স্মর্তব্য যে, ‘গুগল এডসেন্স’ এ সেনসিটিভ অপশন বন্ধ রাখার সুযোগ রয়েছে। সেটা বন্ধ করে কেউ যদি অনৈসলামিক বিজ্ঞাপনগুলো উপেক্ষা করে তার চ্যানেল চালু রাখে, তাহলে ইউটিউব থেকে আয়কৃত অর্থ তার জন্য হালাল হবে।

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: