এবার বিশ্ব ইজতেমা চারদিন

প্রকাশিত: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৬:২০ পিএম

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৫-১৮ ফেব্রুয়ারি। এবারই প্রথম চারদিন হবে মুসলিম উম্মার দ্বিতীয় বৃহৎ সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা। ইজতেমা পরিচালনা করবেন মাওলানা সাদ ও মাওলানা জুবায়ের দুই গ্রুপ।

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় আসন্ন ইজতেমার আয়োজনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করতে তাবলিগের বিবাদমান দুটি পক্ষের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্ত জানান।

বৈঠকে সাদপন্থীদের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম। অপরদিকে সাদবিরোধীদের পক্ষে মাওলানা জুবায়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন।  ইজতেমায় প্রথম দুইদিন মাওলানা জুবায়ের ইজতেমা পরিচালনা করবেন এবং শেষের দুইদিন পরিচালনা করবেন সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম।

বৈঠকে বেশ কিছু অমিমাংশিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রথমদফা বৈঠক শেষে ওইদিনই বিকেলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক হয়।

পরে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, কিছুদিন ধরে বিভিন্ন লোক বিভিন্নভাবে বিশ্ব ইজতেমাকে ভাগাভাগি করার চেষ্টা করছে। কোনোভাবেই এটাকে ভাগ করতে দেয়া যাবে না। গতবছরও গোলযোগ রাস্তায় এসে গিয়েছিল। আমরা এটা সফলভাবে নিবৃত করতে সক্ষম হয়েছি। ‘এবার দূরত্বটা অনেক বেশি, আরও শক্ত হয়েছে। শক্ত কারণগুলোর জট খুলতে আমাদের একটু শক্ত হতে হয়েছে। দু’পক্ষকে এক জায়গায় বসাতে সক্ষম হয়েছি, যাতে এক জায়গায় করতে পারি। এজন্য নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের।’

তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন আগে নির্বাচনে জয়ী হলো সরকার, প্রথম কাজটাই যদি হয় তাবলিগ জামাতের ইজতেমা হচ্ছে না, নিন্দুকের তো আর অভাব নাই। বলবে যে তাবলিগটাই ভেঙে দিয়েছে। এর সঙ্গে সরকারের ইমেজ জড়িত। তাবলিগ-জামাত হতে হবে, একসঙ্গে হতে হবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর ইমেজের সঙ্গে জড়িত।

প্রতিমন্ত্রী সেদিন বলেন, আজকে সবাই একমত যে ১৫-১৭ ফেব্রুয়ারি একত্রে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা হবে। তবে কিছু কিছু কথা আছে সে কারণে আবারও একসঙ্গে বসতে হবে।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: