৪৫ দিন বাঁচবেন কণ্ঠশিল্পী আসিফ!
কথা দিয়ে কথা রাখার দলে কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর।। গানের ক্ষেত্রে ভক্ত-শ্রোতাদের যখন যা বলেছেন, তা-ই উপহার দিয়েছেন। তবে কাছের মানুষদের কাছে এমন কথাও তিনি বলেছেন যা শুধুই তার কল্পনা। বলেছেন মজার ছলে। অতীত খুঁড়ে এমনই কিছু কথা ভক্তদের জন্য তুলে ধরলেন আসিফ।
আজ শনিবার নিজের ফেসবুক পেজে স্কুল-কলেজ জীবনের কিছু স্মৃতি উল্লেখ করে আসিফ লিখেছেন, ‘শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই পড়াশোনার প্রতি একটা বিতৃষ্ণা ছিল। জীবনে প্রথম যেদিন স্কুলে যাই সেদিন হাতে ছিল শুধু মলাট, ভেতরের কাগজগুলো আগেই এ্যারোপ্লেন হয়ে আকাশে উড়ে গিয়েছে।
বন্ধু বেলাল আর আমি একসঙ্গেই আওয়ার লেডী অব ফাতিমা গার্লস হাই স্কুলে ভর্তি হই। আজ ওর নামের পাশে ড. আর আমি ট্রাক্টর। জিলা স্কুলেও শিক্ষা জীবন কাটিয়ে দিয়েছি এক খাতার উপরে। দুই হাত খালি, ব্যাক পকেটে খাতা। প্রহারের পর প্রহারেও লক্ষ্যচ্যুত হইনি। স্যার কিংবা আপা তাদের প্রতিদিনের হাতের ব্যায়ামটা আমার ওপর সেরে ফেলতেন। কলেজেও একই অবস্থা। শ্রদ্ধেয় প্রফেসর আমীর আলী স্যার একদিকে শুরু করতেন মাইকেলের ‘সমুদ্রের প্রতি রাবন’- আরেক দিকে আমার বন্ধুরাসহ আমি পগারপার টু স্টেডিয়াম। ভিক্টোরিয়া কলেজের ক্রিকেট ক্যাপ্টেন হিসেবে ব্যাপক ছাড় পেয়ে ইন্টার পাশ।’
বিয়ে এবং নকল করার অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গে আসিফ লিখেন, ‘সমস্যা বাঁধলো অনার্সে ভর্তি হয়ে। প্রথমে ইকোনোমিক্স নেয়ার চিন্তা ছিল। অনেক সার্ভে করার পর লিপষ্টিক সাইন্স মানে, রাজনীতি বিজ্ঞানে ভর্তি হলাম। করে ফেললাম বিয়ে। বেকার বিবাহিতরাই শুধু আমার তৎকালীন সিকোয়েন্সটা বুঝতে পারবেন। যাই হোক, বন্ধু বাবুলের সহযোগিতায় ইকোনো বলপেন এর গায়ে কাটা কম্পাস দিয়ে পয়েন্টগুলো লিখে নিয়ে যেতাম পরীক্ষা হলে।’
আসিফ লিখেছেন, ‘শীতের কোমল রোদে দুই বন্ধু ছাদে গিয়ে পড়তাম। আম্মা খুব খুশি। তিনি ভেবেই নিয়েছিলেন, এবার উনার মেধাবী ছেলেটা পড়াশোনায় মনযোগ দিয়েছে। এটাও বিয়ের পজিটিভ সাইড এফেক্ট হিসেবেই নিয়েছিলেন তিনি। আসলে ইজ্জত বাঁচাতে ছাদে বসে নকল করতাম। হলে পরীক্ষার সময় এতগুলো কলম দেখে স্যার ভাবতেন, উড়াই ফেলবো পরীক্ষা দিয়ে।’
কণ্ঠশিল্পী আসিফ আরও লিখেন, ‘পরীক্ষা দিয়ে এসে বউয়ের সাথে ডিসকাস করতাম এবং বলে দিতাম সাতচল্লিশ পাবো। ফার্স্ট সেকেন্ড এবং থার্ড ইয়ারে ছয় পেপারে পেয়েছি সাতচল্লিশ করেই। বাকি দুই পেপারের মার্ক ছিল বায়ান্ন এবং বিয়াল্লিশ, অ্যাভারেজ টোটাল করলে দাঁড়ায় সাতচল্লিশ। বিবাহিত ছাত্রের অবিবাহিত শিক্ষক শ্রদ্ধেয় মইনুল স্যার বললেন, আমার জীবনে এরকম ধারাবাহিকতা কখনো দেখিনি। স্যার ছিলেন ব্যাচেলর, তিনি কিভাবে বুঝবেন বিয়ের সাইড এফেক্ট।’
৪৭ বছর বাঁচার প্রসঙ্গে স্ত্রীকে বলা কথাগুলো মনে করে আসিফ লিখেছেন- ‘সমস্যা অন্য জায়গায়, খুশীতে ঠেলায় তখন বউকে বলেছিলাম, দেইখো আমি সাতচল্লিশ বছরই বাঁচবো কিংবা বাঁচতে চাই। আর পয়তাল্লিশ দিন পর আমার বয়স হবে সাতচল্লিশ। এই বছর আবার লিপইয়ারও নাই, যে একদিন বেশি বাঁচবো! কমিটমেন্ট ভাঙার লোক আমি না, বাকি আল্লাহর ইচ্ছা। বেঁচে থাকলে বিয়ে করবো ইনশাল্লাহ, আর যদি মরে যাই তাহলে পুরোনো কথা রিপিট করে গেলাম।’
সবশেষে আসিফ লিখেছেন- ‘লেখাপড়া করে জীবনে কেউ কিছু করতে পারে নাই। তবে জ্ঞ্যান অর্জন করে তা বাটোয়ারা করে যেতে হবে, জ্ঞ্যান কবরে নিয়ে যাওয়ার জিনিস নয়।’
৪৭ বছর বেঁচে থাকার কথাগুলো অনেক ভক্তকেই ভাবিয়ে তুলেছে। এ নিয়ে অনেকে মন খারাপও করেছে।
আসিফের এই স্টাটাসের প্রতিক্রিয়ায় হাজার ভক্ত মন্তব্য করেছেন।
আসিফ আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রতিবেদককে তিনি,‘আমি শুধু আমার পুরোনো স্মৃতিগুলো স্মরণ করেছি। জন্ম, মৃত্যু ও বিয়ে আল্লাহর হাতে। এর বেশি কিছু না।’
বিডি২৪লাইভ/এএস
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: