ভালোবাসা দিবসে সুযোগ নিল ফুল ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:০০ এএম

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ছিল বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। সারা বিশ্বের ন্যয় বাংলাদেশও পালন করেছে দিনটি। দিনটিতে সব কিছু ঠিক থাকলেও ঠিক ছিল না ফুলের দাম। ফুলের দাম ছিল স্বর্ণের মত! ৫ টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ১৫০ টাকাতে। ভালোবাসা দিবসে মনের মানুষকে গোলাপ উপহার না দিলে যেন ভালোবাসার পূর্ণতা আসেনা। তাইতো ভালোবাসার গোলাপ কিনতে বৃহস্পতিবার ফুলের দোকানে ছোটেন তরুণ-তরুণীরা। আর এটিকে সুযোগ হিসেবে নিয়েছেন ফুল ব্যবসায়ীরা।

এই দিনটিদে অধিক মুনাফায় গোলাপ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে প্রেয়সীকে ভালোবাসা জানান দিতে চড়া দামে গোলাপ কিনতেও কাপর্ণ্য করেননি মধ্য বয়স থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণীরাও।

রাজধানীর, ধানমন্ডি, শাহাবাগ, টিএসসি চ্বত্তর, মতিঝিল, কমলপুর, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে দিনটি ছিল ফুল ব্যবসায়ীদের ব্যবসার দিন।

ধানমন্ডির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফুল বিক্রেতা বলেন, ‘আমরা তো প্রতিদিন বিক্রি করিনা। আজকে ভালোবাসা দিবস তাই বেশি দামে ফুল কিনতে হয়েছে। বিক্রিও করছি বেশি দামে। যার ইচ্ছা হচ্ছে কিনছে।’

ধানমন্ডিতে ঘুরতে আসা মিতু নামে এক তরুণী বলেন, ‘৫ টাকার ফুলের দাম ৪০ টাকা হয়েছে। অন্যদিন এই ফুলের দাম থাকে ৫ থেকে ১০ টাকা। তাদের দাম কম রাখতে বললে উল্টা পাল্টা ব্যবহার করে।’

গোলাপের পাশাপাশি বেড়েছে অন্য ফুলের দামও। রজনীগান্ধার স্টিক বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকায়। গাঁদা ফুলের একটি মালা ৩০-৫০, অকির্ট ৬০-৮০, লিলি ২৫০-৩০০, জারবেলা ৩০-৪০, কেলোনজরা ১০-১৫, ফুলের তোড়া ১০০-২০০, মাথার রিং ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মতিঝিলের এক ফুল ব্যবসায়ী জানান, বছরের তিনটি দিন সব থেকে বেশি ফুল বিক্রি হয়। এর মধ্যে ১৪ ফেব্রুয়ারি, পহেলা ফাগুন এবং একুশে ফেব্রুয়ারি। এই বিশেষ দিন গুলোতে ফুলের দাম একটু বেশি থাকে।

ঢাকার সব থেকে পুলের বড় বাজার হচ্ছে শাহাবাগ। যেখানে প্রায় ৫০টির উপরে ফুলের দোকান রয়েছে। এখান প্রতিবছর পহেলা ফাগুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সম্মিলিতভাবে ৫-৭ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করেন। এর মধ্যে ভালোবাসা দিবসে সব থেকে বেশি বিক্রি হয় গোলাপ। যে কারণে অন্য ফুলের তুলনায় এদিন গোলাপের দাম বেশি থাকে।

সূত্রে জানাগেছে, পহেলা ফাগুন ও ভালোবাসা দিবস, এ দুই দিনে শাহবাগের প্রায় ৫০টি দোকানের প্রতিটিই কমপক্ষে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার ফুল বিক্রি করে। তবে যাদের দোকান বড় এবং মাল বেশি তাদের বিক্রিও বেশি। তার ধারণা শাহবাগের সব ব্যবসায়ী মিলে এ দুই দিনে প্রায় কোটি টাকা মুনাফা করেন।

বিডি২৪লাইভ/এএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: