‘বিএনপির জন্য এ নির্বাচন লাভ জনক হবে’

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৪:০২ পিএম

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ণ ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, বিএনপি যদি জন বিচ্ছিন্ন হয়, তাদের জন সম্পৃক্তা সৃষ্টির জন্য এ নির্বাচন লাভ জনক হবে।

সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের নির্বাচনে অংশ গ্রহনের আহবান জানিয়েছেন। তাদের যদি কোন কথা থাকে তা বলার জন্য তিনি বলেছেন। এ ব্যাপারে আমাদের উদ্যোগের কোন অভাব নেই। নির্বাচনে আসা না আসা বিএনপির রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।

মন্ত্রী আরও বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশে এখন একটি শান্ত, সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে। দেশের নির্বাচন কমিশন এখন অত্যন্ত শক্তিশালী। নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করার স্বক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে বলে তারা দাবি করেছে। আমরা নিজেরাও লক্ষ্য করছি যে, নির্বাচন পরিচালনার জন্য আইন শৃংখলা বাহিনী সহ সামগ্রিকভাবে সব রকম ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশন গ্রহন করেছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে না। অবার অন্যরা নির্বাচনে অংশ গ্রহন করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে। আমি মনে করি এর মধ্যদিয়ে বিএনপি অত্যন্ত নিরবুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছে। দেশ জাতি ও মানুষের প্রতি যদি একটি সংগঠনের আন্তরিকতা, ভালবাসা থাকে, তাহলে স্বাভাবিকভাবে এ সমস্ত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তাদের অংশ গ্রহন বাধ্যতামূলক হওয়া উচিৎ। আমি মনে করি যদি বিএনপি নির্বাচন না করে তাহলে তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়ছি, সেখানে বিএনপির অবদান রাখার সুযোগ ছিল। বিএনপি যদি সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ও বাংলাদেশের উন্নতি চায়, তাহলে কেন তারা নির্বাচন থেকে সড়ে থাকবেন।

মন্ত্রী বলেন, আপনারা বঙ্গবন্ধুর আমল থেকে লক্ষ্য করেছেন সকল নির্বাচন সামরিক শাসক সহ যারাই থাকুন না কেন সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছেন। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগনকে সাথে নিয়ে প্রতিটি নির্বাচনে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অংশ গ্রহন করেছেন। জনগনের অধিকার আদায়ের দায়িত্ব পালন করেছেন।

এর আগে মন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি পবিত্র ফাতেহাপাঠ ও বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করেন।

মন্ত্রী এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকার টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শণ করেন।

এ সময় পল্লী উন্নয়ণ ও সমবায় বিভাগের সচিব মোঃ কামলা উদ্দিন তালুকদার, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মিল্কভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু, এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক ভরত চন্দ্র মন্ডল, কাজী মিজানুর রহমান, শাহ আলমগীর, জহিরউদ্দিন শেখ, মোঃ আমিনুল ইসলাম, প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ শামসুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ ইলিয়াস হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম হুমায়ূন কবীর সহ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: