বইমেলায় জাবি শিক্ষার্থীর উপন্যাস

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০২:০৪ পিএম

অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৯ ইং বইমেলায় পাঠকের নজর কারছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ লেখক ও কলামিস্ট অরিত্র দাসের উপন্যাস ‘দীপালি’।

প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঠক প্রিয় তরুণ-তরুণী, যুবকসহ সবধরনের পাঠকরা ভীড় করছে অরিত্র দাসের বইয়ের ৫০১ নং স্টলে। বইয়ের পাতায় চোখ বুলিয়ে খোঁজছেন কি লিখেছেন তরুণ-এ লেখক।

২২৫ পৃষ্ঠার এ বইটিতে অরিত্র দাস বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সমাজ ব্যবস্থার অসংগতিগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। মানুষের জীবন প্রবাহ। জীবনের গতিবিধি। বাস্তব সমাজে মানুষের উথান-পতন। মানুষের চোখে সুন্দর দিনের স্বপ্ন। অন্যকে দেখে পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা। 

প্রতিযোগিতার যুগে টিকে থাকার অদম্য স্বপ্ন। অথচ কী এক জীবন স্পর্ধী যান্ত্রিকতা এবং বিকৃত সমাজব্যবস্থার মুখে বিস্ফোরিত চারদিক। এতে ভষ্ম  হচ্ছে শহর, উপশহর, বন্দর, নিভৃত গ্রাম এবং কিছু কিছু মানুষের জীবন।কখনো মানুষরূপী হায়েনার ছোবলে, কখনো বা ভালবাসাহীনতায়" এই সব বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে মোটিভিশনাল স্পীচ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন অরিত্র দাস।

বইটির লেখক অরিত্র দাস বলেন, উপন্যাসটি সমসাময়িক ঘটনার প্রেক্ষিতে রচিত। কাঠামোগত উন্নয়নের পিছনে ছুটতে গিয়ে আমাদের এ সমাজ, এ রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা ভুলে গেছে মনস্তাত্ত্বিক উন্নয়নের কথা, মানুষের মননশীল-উন্নয়নের কথা। প্রেম, ভালবাসার কথা। সম্প্রীতির কথা, ভ্রাতৃত্বের কথা। আমাদের এই যান্ত্রিক জীবন থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সুস্থ স্বাভাবিক জীবন নিশ্চত করতে হবে। একটা উন্নত জাতির ভিত্তি হলো মনস্তাত্ত্বিক উন্নয়ন তথা মানসিকতা, সংস্কৃতি, চিন্তা-চেতনা ও দৃষ্টিভঙ্গির উন্নয়ন।

ইতিমধ্যে ৫০০ কপি বইয়ের শতাধিক বই বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও প্রতিমুহুর্তে পাঠকদের আগ্রহ বাড়ছে এই বইয়ের প্রতি। পাঠকরা বই দেখেশুনে তাদের পছন্দের তালিকায় ‘দীপালী’ রাখুক এই আশা করছেন অরিত্র দাস।

বিডি২৪লাইভ/এএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: