রাজধানীতে ১০ হাজার একর জমি উদ্ধার

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:১৪ পিএম

সারা দেশে সরকারের খাসজমির পরিমাণ প্রায় ১৭ লাখ ৫৫ হাজার ২১ একর। এর মধ্যে প্রায় ৭ শতাংশ জমি সরকারের দখলে নেই। কোনো কোনো জমির মালিকানা নিয়ে আবার মামলাও চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় বেহাত হওয়া সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে একটি কমিটি করে ভূমি মন্ত্রণালয়।

এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। এতে ভাষানটেক, দামালকোর্ট, কলেজেরটেক, নিরব রোড, সৌখিন রোড এলাকায় প্রায় দশ হাজার একর জমি থেকে প্রায় ৫ হাজার খুপরি ঘর ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুইদিনের এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় গৃহায়নের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাজিম উর রহমান।

ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাজিম উর রহমান বলেন, ‘অলমোস্ট ডান’। প্রায় দশ হাজার একর জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। সরকারি গৃহ সূচনা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে দ্রুতই। নিম্ন-মধ্য আয়ের এর পরিবারের মানুষদের মধ্যে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া হবে। উচ্ছেদ অভিযানের কারণে এলাকায় মাদকের প্রভাব একটু হলেও কমে। ঠিকাদার কোম্পানিগুলোকে প্রকল্পের কাজ খুব দ্রুতই বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

জানা গেছে, ভূমি ব্যবস্থাপনায় বিদ্যমান পদ্ধতিগত জটিলতা সরকারি সম্পত্তি বেহাত হওয়ার অন্যতম কারণ। বিদ্যমান বেশির ভাগ মৌজা নকশার ক্যাডাস্টাল সার্ভে (সিএস) নকশা, স্টেট অ্যাকুইজিশন সার্ভে (এসএ) নকশা, রিভিশনারি সেটলমেন্ট (আরএস) নকশার দাগ অস্পষ্ট। অনেক আগে তৈরি এসব নকশার কাগজ দুর্বল হয়ে বিকৃতি ঘটেছে। ফলে জমির পরিমাণ ও সীমানা নির্ধারণ জটিল ও কঠিন হয়ে পড়ে। নকশা ও বাস্তব পরিমাপে পার্থক্য দেখা দেয়। এতে মালিকানার বিরোধ নিষ্পত্তিতে জটিলতা বাড়ে। এছাড়া নকশার প্রতিলিপি ব্যবহার ও বিতরণের বিষয়টিও জটিল। মূল কপি মাত্র একটি হওয়ায় এর প্রতিলিপি ত্রুটিযুক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এসব কারণেই মূলত সরকারি সম্পত্তি বেহাত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ভূমি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে ভূমি-সম্পর্কিত প্রায় সব খাত ডিজিটালাইজ হচ্ছে। এতে কাজের ক্ষেত্রে আরো স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আসবে। ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল পদ্ধতি প্রবর্তন ও বিরোধ নিষ্পত্তিতেও জনসচেতনতা তৈরিসহ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ-সংক্রান্ত আরও কয়েকটি কর্মসূচি শিগগিরই শুরু হবে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে সরকারি জমি বেহাত হওয়া থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: