উপজেলা নির্বাচন: রবিউল আলমকে নিয়ে একাট্টা তৃণমূল আ’লীগ

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:১৫ এএম

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সৎ ব্যক্তিত্ব স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ রবিউল আলম প্রধানকে নিয়ে একাট্টা হয়েছে তৃণমূল আওয়ামীলীগ। এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের স্থানীয় দ্বন্দ নিরসন ও দলকে সুসংগঠিত করতে রবিউল আলমকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নের দাবী জানিয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তৃণমূল আওয়ামী লীগ বলছে, অন্যান্য প্রার্থীর তুলনায় রবিউল আলম ইতোমধ্যে সৎ, যোগ্য ও ক্লিন ইমেজের অধিকারী হিসেবে এলাকার সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তৃণমূল নেতাকর্মীর মন জয় করে নিয়েছেন। 

জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী আমেজ শুরু হবার পর থেকেই ঢাকা উত্তর মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের দপ্তর সম্পাদক রবিউল আলম প্রধান, ঘিওর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সাধারন সম্পাদক আব্দুল আলিম মিন্টু ও কৃষক লীগ নেতা উজ্জল দরজি গনসংযোগ শুরু করেন। চারজন প্রার্থী মাঠ চষে বেড়ালেও রবিউল আলম প্রধান ইতোমধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন। রবিউল আলম প্রধান ১৯৭০ সালের ১০জুন উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী হিজুলীয়া গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন।

বাবা ইউনুছ আলী প্রধান ছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি। ১৯৮২ সালে ৭ম শ্রেনীতে পড়াবস্থায় স্কুল ছাত্রলীগের নেতৃত্বে দেন তিনি। ছাত্রাবস্থায় ঘিওর ডিএন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব আব্দুল খালেক বিএসসির সহায়তায় ঢাকার আব্দুল গনি রোডে মাননীয় প্র্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে অংশগ্রহন করেন। ১৯৮৮-১৯৮৯ সালে মহাদেবপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক থাকা অবস্থায় শিবির বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৯০ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় নেতৃত্ব প্রদান এবং সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে একদিন আটক থাকেন। ২০০১ সালে জামাত শিবির নির্যাতনের শিকার হন।

২০০১ সালে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন চৌধুরীর সাথে মিরপুরে মিছিল করার সময় পুলিশের লাঠিচার্জে মোবাশ্বের চৌধুরীর হাত ভেঙ্গে যায় এবং রবিউল আলম প্রধানের মাথা ফেটে যায়। ২০০৭ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়ে গুরুত্বর আহত হন। ওয়ান ইলেভেনের সময় স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারন সম্পাদক বাবু পংকজ দেবনাথ গ্রেফতার এবং সভাপতি আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম জীবন রক্ষায় আত্মগোপনে গেলে দলের পক্ষে পত্রিকায় বিবৃতি লিখে দলের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের ন্যাম ভবনে গিয়ে স্বাক্ষর এবং সাবেক সভাপতি জিল্লূর রহমানের বাসায় গিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে প্রকাশনার ব্যবস্থা গ্রহনের দায়িত্ব পালন করেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন সেনাবাহিনী দ্বারা ঘেরাও হলে বাহাউদ্দিন নাছিমের নেতৃত্বে অতন্দ্র প্রহরীর ভুমিকা পালন করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা উত্তর মহানগরের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাকা থাকলেও তিনি ঘিওর উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমুলের নেতৃবৃন্দের সাথে রয়েছে সুসম্পর্ক। নেতাকর্মীদের আপদে-বিপদে সবসময় পাশে থাকছেন। সামাজিক- সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করছেন। সৎযোগ্য ও তারুণ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে ইতোমধ্যে সাধারন মানুষের হৃদয় দখল করে নিয়েছেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অন্যান্য প্রার্থীর দোষত্রুটি থাকলেও দলে এবং সাধারন মানুষের কাছে রবিউল আলম ক্লিন ইমেজ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। এ কারণে তৃণমুল নেতাকর্মীরা রবিউল আলম প্রধানকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেবার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবী জানিয়েছেন।

বালিয়াকৈর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এহছান আলী জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যে চারজন প্রার্থী রয়েছে তারমধ্যে রবিউল আলম প্রধান সৎযোগ্য প্রার্থী। তারুণ্য ব্যক্তিত্ব রবিউল আলম প্রধান উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন পেলে একদিকে যেমন দলে কোন কোন্দল থাকবে না, অন্যদিকে এলাকার উন্নয়ন হবে। দলমত সকলের কাছে রবিউল আলমের গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে। তৃণমুলের আওয়ামী লীগ রবিউল আলমের পক্ষে একজোট হয়েছে বলেও তিনি জানান।

পয়লা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম মাষ্টার জানান, আমরা একজন শিক্ষিত, সৎব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ব্যক্তিকে উপজেলা চেয়াম্যান হিসেবে পেতে চাই। যাদ্বারা উপজেলা যেমন সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে এবং দলকে সুসংগঠিত হবে-এমন প্রার্থীকে যেন মনোনয়ন দেয়া হয়। এক্ষেত্রে রবিউল আলম প্রধান নতুন মুখ হলেও তার প্রাপ্যটা অনেক বেশী বলে আমরা মনে করছি।

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রবিউল আলম প্রধান বলেন, আমার পরিবার আওয়ামীলীগের পরিবার হিসেবে উপজেলা সুপরিচিত। ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার অতি অবিচল আস্থা রেখে রাজনীতি করছি। আমার জন্মস্থান ঘিওর উপজেলাকে আধুনিক উপজেলার পাশাপাশি ঘিওরের সাধারন মানুষের কল্যাণ এবং আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। আশা করছি জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দেশ ও দলের কল্যাণে নিজেকে সবসময় নিয়োজিত রাখবো।

বিডি২৪লাইভ/এএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: