‘পুরো দেশ কাঁদছিল, আর মোদী শুটিং করছিলেন’

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:২৫ এএম

‘রোম যখন পুড়ছিল, নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন’। এই প্রবাদবাক্য ধরে রাজনীতির ময়দানে প্রতিপক্ষকে আক্রমণের নজির কম নেই। এবার সেই অভিযোগেই বিদ্ধ হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার পর সারাদেশ যখন সিআরপিএফ জওয়ানদের মৃত্যুতে কাঁদছে, প্রধানমন্ত্রী তখন শুটিং করছিলেন’, প্রমাণসহ এই অভিযোগ তুলে তীব্র আক্রমণ শানাল কংগ্রেস।

রীতিমতো তোপ দেগে দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার প্রশ্ন, ‘সারা বিশ্বে এরকম প্রধানমন্ত্রী আর কোনও দেশে আছেন?’ তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লজ্জাজনক অভিযোগ এনেছে কংগ্রেস’।

একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের জন্য সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী একটি প্রচারমূলক তথ্যচিত্রের শুটিং করছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার দিনও প্রায় দিনভর সেই তথ্যচিত্রের শুটিং হয়েছে উত্তরাখণ্ডের জিম করবেট ন্যাশন্যাল পার্কে। পুলওয়ামা হামলা হয় দুপুর তিনটে নাগাদ। কংগ্রেসের অভিযোগ, সেই খবর পাওয়ার পরও সন্ধ্যা পর্যন্ত শুটিংয়েই ব্যস্ত ছিলেন মোদী।

আগে থেকে শুটিংয়ের দিনক্ষণ নির্ধারিত থাকতেই পারে। কিন্তু এত বড় জঙ্গি হামলার পরে প্রধানমন্ত্রী কী করে শুটিং করেন, তাই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। সুরজেওয়ালার অভিযোগ, ক্ষমতার লোভে মোদী দেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো দায়িত্ব পালন করছেন না। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার

স্থানীয় একাধিক সংবাদপত্রে মোদীর প্রতি মিনিটের কার্যক্রম ছাপিয়েছে বলে উল্লেখ করে সেই সংবাদপত্র সাংবাদিকদের দেখান সুরজেওয়ালা। এ নিয়ে মোদীকে সুরজেওয়ালার খোঁচা, ‘নিজেকে জাহির করতে তথ্যচিত্রের শুটিং করছিলেন, করবেট পার্কে কুমিরদের মধ্যে সময় কাটাচ্ছিলেন মোদী। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের চিত্রগ্রাহকদের সঙ্গে চা-সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন।

সুরজেওয়ালার অভিযোগের জবাব দিতে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘এরকম একটা স্পর্শকাতর বিষয় নিয়েও নির্লজ্জ রাজনীতি করছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লজ্জাজনক অভিযোগ তুলেছে। চেষ্টা করছে সেনাদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার।’

বিডি২৪লাইভ/এএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: