সেই ভবনের নীচে পাওয়া গেল বিপুল পরিমাণ কেমিক্যাল!

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৩:১৩ পিএম

আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবনের নিচতলায় বিপুল পরিমাণ রাসায়নিকের মজুদ পাওয়া গেছে। এগুলো রাসায়নিক পণ্য হতে পারে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সহকারি পরিচালক মো. সালেহ উদ্দিন।

তিনি জানান ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে তল্লাশি চালানোর সময় বেজমেন্টে গুদামের সন্ধান পাওয়া যায়। যেখানে অসংখ্য প্লাস্টিকের কন্টেইনারে বিপুল পরিমান রাসায়নিক রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া বেজমেন্টে বিপুল পরিমান পলিথিনের বস্তাও পাওয়া যায়। ফায়ার সার্ভিস বলছে শিল্প কারখানায় ব্যবহারের জন্য কয়েকশ টন রাসায়নিক রয়েছে গুদামটিতে।

এসব রাসায়নিক কতোটা দাহ্য সে ব্যাপারে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। আবাসিক ভবনে কোন ধরণের সতর্কতা ছাড়াই কেমিক্যালের মজুদ সম্পূর্ণ বেআইনি উল্লেখ করে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা।

রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবনে বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। এ ঘটনায় অন্তত ৬৭ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন ৪১ জন।

উল্লেখ্য, এর আগে চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিদর্শনে এসে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘পুরান ঢাকার কেমিক্যাল ব্যবসা বংশ পরম্পরা। এটাতো বন্ধ করা যাবে না। এরসঙ্গে অনেক কিছু জড়িত। আমি পুরান ঢাকার মানুষ। আমি জানি’।

নিমতলির ঘটনার প্রায় ১০ বছর পরও কেমিক্যাল গোডাউন সরানো গেলো না কেনো, এমন প্রশ্নর জবাবে মন্ত্রী বলেন, আপনারা কি ভিনগ্রহ থেকে এসেছেন নাকি? আমরা কি ঢাকা শহর গুড়িয়ে দেবো?

তিনি বলেন, ‘তারা (ব্যবসায়ীরা) যেতে চায় না। আমরা শিল্পনগরী গড়ে তুলছি। এটা দেখতে আরো ১০ বছর অপেক্ষা করতে হবে না। আমাদের বাস্তবতা বুঝতে হবে। অর্থনৈতিক প্রবাহ বন্ধ করা যাবে না’।

আবাসিক এলাকায় কেমিক্যাল ব্যবসা বন্ধ হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। আমরা কাউকে উচ্ছেদ করবো না। তবে তাদের নির্দ্দিষ্ট এলাকায় নেওয়া হবে।

চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা একদমই ভিন্ন মন্তব্য করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, নিমতলির ঘটনা আর চকবাজারের ঘটনা একদম ভিন্ন। এটা কেমিক্যাল সম্পর্কিত কিছুই না। সিলিন্ডার থেকে এটা হয়েছে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, আজকের ঘটনা ভিন্ন। এটা কেমিক্যাল সম্পর্কিত কিছুই না। আমি সরেজমিনে দেখে এসেছি। দিস ইজ ডিফারেন্ট স্টোরি।

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘যেখানে ঘটেছে সেটা ছিল একটি রেস্টুরেন্ট। এটা হচ্ছে সিলিন্ডার ব্লাস্ট। ওই এলাকায় গ্যাস স্বল্পতা ছিল। হোটেলে সিলিন্ডারের গ্যাস ব্যবহার করতো। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা কেমিক্যাল অ্যারিয়া না, এখানে কেমিক্যালের কোনো অস্তিত্ব নেই, কোনো গোডাউনও ছিল না’।

বিডি২৪লাইভ/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: