আমগাছে দুলছে মুকুল

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৪:০৮ পিএম

মানিকগঞ্জের সবকটি উপজেলাজুড়েই আমের মুকুল গতবারের চেয়ে একটু বেশী,  শীত ও কুয়াশার শেষে আম গাছের কচি ডগা ভেদ করে বের হতে শুরু করেছে মুকুল। গাছে গাছে আমের মুকুল জানান দিচ্ছে ঋতুরাজ বসন্তের আগমনী বার্তা।

আমের শাখায় শাখায় উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছি। তারা আশপাশ মুখরিত করে তুলেছে। আম গাছে মুকুল আসার আগ থেকেই পরিচর্যা শুরু করেছেন স্থানীয় চাষিরা। আম বাগানগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। মুকুল টিকিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন চাষিরা।

সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার গত মৌসুমের চেয়ে বেশি জমিতে আম চাষ হবে। মুকুল টিকিয়ে রাখতে চাষিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হওয়ার আশা করছে কৃষি বিভাগ।

কৃষিবিদ মোঃ মীরজাহান জানান, এ বছর আগাম বৃষ্টিপাত হওয়ায় আমের মুকুল ঝরবে কম। ফলে আমের গুটি শক্ত হবে। এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদী তিনি।সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর এলাকার আম চাষি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন মুকুল আসার সপ্তাহ আগ থেকে তিনি গাছের পরিচর্যা করতে শুরু করেছেন। ঘন কুয়াশার কারণে মুকুল কিছুটা ঝরে গেছে। অবশিষ্ট মুকুল টিকিয়ে রাখতে কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক বিভিন্ন পদ্ধতিতে বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন। অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক বিডি২৪লাইভকে জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলার প্রায় ১৬ হেক্টর জমিতে আম চাষ হবে। সবে মাএ গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই চাষিরা গাছের পরিচর্যা শুরু করেছেন। প্রতিবারের ন্যয় এবারও চাষিদের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সার্বিক সহযোগিতা করছেন। কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: