ঢাবি শিক্ষার্থী হাফেজ কাওসারের শেষ স্ট্যাটাস কী ছিল?
রাজধানীর চকবাজার এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ঢাবি শিক্ষার্থী হাফেজ মো. কাওসার আহমেদকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ তার পরিবার। জীবন থেকে বাবা ডাকটি হারিয়ে ফেলল অবুঝ জমজ শিশুরা।
সকাল হতে না হতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন কাওসারের দুই ভাই, মা ও স্ত্রী মুক্তা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন কাওসার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় হয়েছিলেন ১৭তম।
পার্টনারশিপে ক্লিনিকের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। বাবার নাম খলিলুর রহমান। কুমিল্লায় বাড়ি। সবাই থাকতেন চকবাজারে। ঘটনার দিন ওই ক্লিনিকেই ছিলেন তিনি।
কাওসারের ফেসবুকে দেয়া শেষ স্ট্যাটাসে লেখা ছিল, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং হোমনাবাসীর গর্ব জনাব মাহবুব আলম, পিপিএম (বার)কে পুলিশের সর্বোচ্চ সম্মানসূচক পুরস্কার বিপিএম-সেবা (বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল) -এ ভূষিত হওয়ায় প্রাণঢালা অভিনন্দন।’
তার বন্ধুর বিষয়ে বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত সূর্যসেন হলের ছাত্র শরীফুল আলম বলেন, আমাদের মধ্যে কাওসার ছিল খুবই মেধাবী ও পরিশ্রমী। নিজের খরচ নিজেই বহন করত। সে জন্য ফার্মেসির দোকান দিয়েছিল। কাওসার মাদ্রাসায় পড়ত, কোরআনে হাফেজ ছিল। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়।
তিনি বলেন, সে মাঝেমধ্যে সূর্যসেন হলেও এসে থাকত। আবার বাসায়ও থাকত। ওষুধের দোকানটাও সেই চালাত। কাওসার বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। আবদুল্লাহ নামে একটি ছেলে এবং নুসাইবা নামে একটি মেয়ে আছে তার।
শরীফুল আলম আরও বলেন, কাওসারের ইচ্ছা ছিল বড় ব্যাংকার হবে, পরিবারের হাল ধরবে। ওর স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল। ওর মতো মেধাবীদের এমন করে পুড়ে মারা যাওয়া রাষ্ট্রের চরমতম ব্যর্থতা।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে চকবাজারে প্রথম যে চারতলা ভবনে আগুন লাগে, তার উল্টোদিকের ভবনে কাওসারের আল মদিনা মেডিকেল ও ডেন্টালে আগুন ছড়িয়েছিল। সূত্র: যুগান্তর।
বিডি২৪লাইভ/টিএএফ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: