কুমিল্লায় হসপিটাল ও বিউটি পার্লারে অগ্নিকাণ্ড

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৮:৫০ পিএম

কুমিল্লায় নগরীর ঝাউতলা এলাকায় মুন হসপিটাল নামের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ও ঝাউতলা চৌধুরী ম্যানশনে কুইন্স বিউটি পার্লারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার রাতে ও শনিবার বিকালে এ দুটি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা। 

জানা যায়, শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নগরীর ঝাউতলা এলাকার চৌধুরী ম্যানশন নামের একটি ভবনের ৪র্থ তলার একটি কক্ষে কুইন্স বিউটি পার্লারের আগুন লাগে। 

স্থানীয়রা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার খবরে ও ভবন থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে আশপাশের ভবনে থাকা লোকজনের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ওই কক্ষে বিউটি পার্লারের কর্মীরা থাকতো এবং বিভিন্ন সামগ্রী রাখা হতো।

অগ্নিকান্ডের কোন প্রকার হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে এ ঘটনায় এসি, টিভি বাড়ির আসবাব পত্রসহ বিভিন্ন জিনিস পুড়ে যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা বলে জানা গেছে।  বৈদ্যুৎতিক সট সার্কিটের কারণে এ ঘটনাটি ঘটে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আলমগীর হোসেন। 

কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আলমগীর হোসেন জানান, ‘বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এতে কেউ হতাহত হয়নি। আগুনে ওই কক্ষে থাকা আসবাবপত্র ও পার্লারের মালামাল পুড়ে গিয়েছে।’

এর আগে শুক্রবার রাতে  নগরীর ঝাউতলা এলাকায় মুন হসপিটাল নামের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ৯ম তলার প্যাথলজি বিভাগে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় হাসপাতালের স্টাফ মাকসুদা বেগম অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। ঘটনার পর হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং এতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।  আহত মাকসুদা বেগম চাদঁপুর জেলার কচুয়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি মুন হাসপাতালের ল্যাবে কর্মরত ট্যাকনোলজি কর্মী ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাত ৯টার দিকে ওই হাসপাতালের নবম তলার প্যাথলজি বিভাগের একটি কক্ষে অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র থেকে ধোঁয়া উড়ছিল। মুহুর্তেই ওই ল্যাবের দরজা-জানালার পর্দায় আগুন ধরে যায় এবং এতে ওই বিভাগের ল্যাবের কিছু যন্ত্রপাতি বিনষ্ট হয়।

এসময় ওই ল্যাবে থাকা স্টাফ মাকছুদা আক্তারের শরীরের ৫০ ভাগ দগ্ধ হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালের ৯ম তলা থেকে হুড়োহুড়ি করে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতে গিয়ে আরও অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন।

কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আলমগীর হোসেন জানান, আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে এ ঘটনায় একজন নার্স গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, মুন হসপিটালের ভবনের ৯ তলায় ল্যাব হিসেবে যে কক্ষ ব্যবহার হয় বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আমরা পৌঁছার আগেই তারা অগ্নিনির্ভাপন ব্যবস্থার মাধ্যমে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

মুন হসপিটালের সুপারভাইজার কাউসার জানান, প্যাথলজি বিভাগের ইউরিন পরীক্ষাগারে মেশিনের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে সাথে সাথেই আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: