‘সরকার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করছে’

প্রকাশিত: ০৪ মার্চ ২০১৯, ০২:০৮ পিএম

আরব আমিরাতের আবুধাবিতে আগামী ১৪ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত হতে যাওয়া স্পেশাল অলিম্পিক ওয়ার্ল্ড সামার গেমস ২০১৯ এ অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিক টিম।

১১ টি দলের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিক স্পর্টস টিম এর মোট ১০৩ জন অ্যাথলেট ৯টি ডিসিপ্লিনে অংশ নিবেন।

স্পেশাল অলিম্পিক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আয়োজন যা মূলত মানবিক দিকের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এই ক্রীড়া আয়োজনে বিশ্বব্যাপী বুদ্ধি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের খেলাধুলোর অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি এ বিষয়ে সচেতন তৈরীর কাজ করছে।

এ উপলক্ষে সোমবার (৪ মার্চ) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিক এর সহযোগী হিসেবে কোকা-কোলার অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দেয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের কিন্তু সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অসুস্থার কারণে তিনি ছিলেন না।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ড. শামিম মতিন চৌধুরী চেয়ারম্যান স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশ এবং আশরাফ দৌলা প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশ এবং অজয় বাথিজা কান্ট্রি হেড লিমিটেড কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেড।

বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিক দল আগামী ৮ মার্চ দুবাইয়ে উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বে। সেখানে পৌছানোর পর প্রতিযোগিতার মূল পর্বের জন্য বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিক দল অনুশীলনে ব্যস্ত থাকবে। আগামী ১৪ মার্চ প্রতিযোগিতার মূল পর্ব শুরু হবে। এবারের স্পেশাল অলিম্পিকে বাংলাদেশের মোট ১৭০টি দেশের অ্যাথলেটরা অংশগ্রহণ করবে।

২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশ ১৮টি স্বর্ন, ২২টি রৌপ্য ও ১৮টি ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছিল। গত ২৫ বছর ধরে বাংলাদেশের স্পেশাল অলিম্পিকে অংশ নিয়ে আসছে।

বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের স্পেশাল অলিম্পিক দল মোট ২১৬টি স্বর্ণ, ১০৯টি রৌপ্য এবং ৮৪টি ব্রোঞ্জ পদক জয়ের মাধ্যমে দেশের জন্য গৌরব বয়ে নিয়ে এসেছে।

এ বছর বাংলাদেশের স্পেশাল অলিম্পিক দলের নেতৃত্ব প্রদান করছেন নুরুল আমিন। তিনি ১৫ থেকে ২৫টি পদক জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. শামীম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিগত স্পেশাল অলিম্পিক ওয়াল্ড গেমসগুলোতে বাংলাদেশ দল ধারাবাহিকভাবে সাফল্যের পরিচয় রেখে এসেছে।

বাংলাদেশী স্পেশাল অ্যাথলেটরা এ বছর যদি ধারা অক্ষুণ্ন রাখবে বলে আমার আমরা বিশ্বাস করি বর্তমান সরকার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন জনগোষ্ঠীর জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে আমরা অন্তত খুশি যে স্পেশাল অলিম্পিক ওয়াল্ড গেমসের বাংলাদেশের সহযোগী হিসেবে কোকা-কোলা এগিয়ে এসেছে।

কোকা-কোলার এই সহযোগিতা ফলে আমরা স্পেশাল অলিম্পিক দল কে সুন্দর ভাবে গোছাতে পেরেছি আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ বোধ করছি।

কোকা-কোলার বাংলাদেশ কান্ট্রি হেড অজয় বাথিজা বলেন, স্পেশাল অলিম্পিক কেবলমাত্র একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নয় বরং এটি এমন একটি আয়োজন যার মাধ্যমে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা মূল স্রোতধারার সাথে এক হওয়ার সুযোগ লাভ করেন এ ধরনের প্রতিযোগিতা ব্যপ্তি সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কোকা-কোলা বিশ্বাস করে অন্তর্ভুক্তির সংস্কৃতিতে। আশা করি আমাদের এই বিশ্বাস অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করতে সক্ষম হবেন স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশ টিমের সহযোগী হতে পেরে কোকা-কোলা গর্বিত।

বিডি২৪লাইভ/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: