সঙ্গীতের খাঁটি প্রেমিক শোয়েব চৌধুরী

প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০১৯, ০৯:৫৩ এএম

আরেফিন সোহাগ: বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তী কন্ঠশিল্পী রুনা লায়লা থেকে শুরু করে সিনিয়র শিল্পীদের মধ্যে প্রায় সবাই গেয়েছেন শোয়েব চৌধুরীর লেখা গান। শুধু তিনি গানই লিখেন না, করেন সুরও। এ প্রজন্মের শিল্পীর গেয়েছেন তার লেখা ও সুরে গান। অনেক বছর ধরেই গান রচনা করে যাচ্ছেন শোয়েব চৌধুরী।

শোয়েব চৌধুরী শুধু বাংলা গান লিখছেন তা কিন্তু নয়। এরই মাঝে তাঁর লেখা এবং সুর করা উর্দু গজল ‘অ্যাঁয় কাফান তুনে জিন্দেগীসে মুঝকো জুদা কিয়া’ গেয়েছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান। তাঁরই লেখা এবং সুর করা একটা ইংরেজী গান ‘উইন্ড ইন দ্যা ক্যাসল’ গাইবেন এ সময়ের হলিউড সেনসেশন টেলর সুইফট। বলিউড ছবির জন্য একটা আইটেম গান ‘রাত রাংগিলী ম্যায় আওর তু’ ও লিখেছেন-সুর করেছেন তিনি। আবার এই শোয়েব চৌধুরীই লিখছেন-সুর করছেন আঁকর মাটির ঘ্রান মেশানো বাংলা লোকগান। এরই মাঝে তাঁর লেখা ও সুরে লোকগান ‘তুই কেনো আমার হইলিনা’, ‘যমের বাড়ী নিতে আমায়’,এবং ‘নিরাকারী মনমহাজন’ গানগুলো গাইবেন কলকাতার জনপ্রিয় লোকশিল্পী পৌষালী ব্যানার্জি। আরো কিছু নতুন আধুনিক ও লোক গান গাইবেন ভারতের অরিজিত সিং, শ্রেয়া ঘোষালসহ আরও অনেকেই।

শোয়েব মাত্র চার বছর বয়স থেকে টানা ১৬ বছর ওস্তাদ আখতার সাদমানী, ওস্তাদ রাম গোপাল মহন্ত, ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদ খান, ওস্তাদ বারীন মজুমদারদের মতো সংগিতজ্ঞদের কাছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিখেছেন। তাঁর প্রতিটি গানের কথাতেই গভীরতা ব্যাপক এবং প্রতিটি গানই শ্রোতাকে ডুবিয়ে নেবে ভাবনা আর অনুভূতির অন্য আরেক জগতে।

শোয়েব চৌধুরীকে নিয়ে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীত পরিচালক মিল্টন খন্দকারের বলেন, ‘আমি এটা মানবো না। প্রথমেই বলবো, আমাদের লেখা গানের কথার যেখানে শেষ, ঠিক সেখান থেকেই শুরু শোয়েব চৌধুরীর গানের কথা। আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর গান খুবই পছন্দ করি। আর উনার সুরের কথা যদি বলতে হয়, তাহলে বলব, তার সুরে মোহিনী যাদু আছে। আমি নিজেও উনার বেশ কিছু গানের সঙ্গীত পরিচালনা করেছি। এসব গান একদিন কালজয়ী হবে।’

শোয়েব চৌধুরীর কথা ও সুরে দুটো গান প্রকাশ করতে যাচ্ছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মিউজেকটেক। এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সেলিম রেজা বললেন, ‘অনেক বছর ধরে শখ ছিলো শোয়েব চৌধুরীর লেখা ও সুর করা গান প্রকাশ করবো। কিন্তু আমি জানতাম, যোগ্য শিল্পী না পেলে উনি গান দেবেন না। কারণ উনি গানের সওদাগর নন। তিনি হলেন সঙ্গীতের একজন খাঁটি প্রেমিক।

তিনি তো টাকা ইনকামের জন্য গান লিখেন না বা সুর করেন না। তিনি গান লিখেন নিজের এবং অন্যের আত্মার প্রশান্তির জন্য। এবার আমার প্রতিষ্ঠান ওনার দুটো গান প্রকাশ করতে যাচ্ছে। আমি এখনও শিল্পী চূড়ান্ত করিনি। শিল্পী বাছাই করছি। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কে টেকে। কারণ, শোয়েব চৌধুরীর গান গাইতে পারা যেকোন শিল্পীর জন্য সম্মানের বিষয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘যে মানুষের লেখা-সুর করা গান ওস্তাদ রাহাত ফতেহ আলী খানের মতো মানুষেরা গান, তাঁর সম্পর্কে আর কী বলবো। আমি শুধু এক কথায় বলবো, কেবল ভাগ্যবান শিল্পীরাই শোয়েব চৌধুরীর গান গাইবে– ভাগ্যহীনরা নয়।’

বিডি২৪লাইভ/এএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: