ফেসবুকের সঙ্গে কাজ করছে না ইনস্টাগ্রামও

প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০১৯, ১১:৫০ পিএম

লগ-ইন অবস্থায় তাদের নিজস্ব কাজের জন্য ট্যাকনিক্যাল সমস্যা দেখাচ্ছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। আর যারা সচল নেই তাদের আইডিতে নতুন করে প্রবেশও সম্ভব হচ্ছেনা। ধারণা করা হচ্ছে, কারিগরি সমস্যার জন্যই এই সাইটটিতে প্রবেশ করতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা।

প্রথমে মনে করা হয়েছিলো কেউ ফেসবুক অ্যাকাউন্টগুলি হয়তো হ্যাক করার চেষ্টা করছে। সে কারণেই অ্যাকাউন্টগুলো সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পরে জানা যায়, হ্যাকিং নয়। ফেসবুকের কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা হওয়ায় তা সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়।

&dquote;&dquote;
আর ফেসবুকের পাশিপাশি একই ধরনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে ইনস্টাগ্রামেও। এর আগেও দু-একবার এ ধরণের সমস্য হয়েছিলো ফেসবুকে।

তবে, মার্ক জুকারবার্গের মালিকানাধীন ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পক্ষ থেকে বন্ধ থাকার কোনো কারণ এখনো জানানো হয়নি।

সম্প্রতি, ওয়েবসাইট ডাউন ডিটেক্টর রিপোর্ট অনুযায়ী অধিকাংশ লোক এই সাইটে ‘মোট ব্লক আউট’ দেখতে পেয়েছে, এর অর্থ হচ্ছে এটি লোড হবে না।

কিন্তু ডাউন হওয়া পৃষ্ঠাটি পুনরায় জীবন্ত করার চেষ্টায় সাইটটিকে রিলোড করার চেষ্টা করছেন অনেকেই। তবে প্রকৃতপক্ষে পৃষ্ঠাটি রিফ্রেশ করলেও সাইটটিতে ঢুকা যাচ্ছে না।

&dquote;&dquote;বাংলাদেশ, ভারত পাকিস্তান, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ এশিয়ার একাধিক দেশ যেমন রয়েছে তেমনই আমেরিকা মহাদেশেরও একাধিক দেশে এই সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও প্রভাব পড়ে আফ্রিকার কয়েকটি দেশেও।

যদিও ফেসবুক কর্তৃপক্ষের দাবি এই সমস্যা খুব বেশি সময় দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে তা চিহ্নিত করা গিয়েছে। এবং তা ঠিক ও হয়ে গিয়েছে। টেকনিক্যাল কিছু ফল্ট হওয়ার কারণেই এই সমস্যা হয়েছে। তবে এর সঙ্গে হ্যাকিংয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।

ডাউন ডিটেক্টর এর মানচিত্র অনুযায়ী, এই সমস্যাগুলি যুক্তরাজ্যে এবং উত্তর ইউরোপেজুড়ে বেশি হচ্ছে। কিন্তু ইউরোপ ছাড়াও বিশ্বের অনেক দেশের মানুষ জনপ্রিয় এই সাইটটিতে ঢুকতে পারছেন না।

&dquote;&dquote;প্রসঙ্গত, ফেইসবুক অথবা ফেসবুক (সংক্ষেপে ফেবু নামেও পরিচিত) বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট, যা ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিতে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায়। এর মালিক হলো ফেসবুক ইনক। ব্যবহারকারীগণ বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন, সেই সাথে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন।

শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যকার উত্তম জানাশোনাকে উপলক্ষ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত বইয়ের নাম থেকে এই ওয়েবসাইটটির নামকরণ করা হয়েছে।

মার্ক জাকারবার্গ হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তার কক্ষনিবাসী ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র এডওয়ার্ডো সেভারিন, ডাস্টিন মস্কোভিৎস এবং ক্রিস হিউজেসের যৌথ প্রচেষ্টায় ফেসবুক নির্মাণ করেন। ওয়েবসাইটটির সদস্য প্রাথমিকভাবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু পরে সেটা বোস্টন শহরের অন্যান্য কলেজ, আইভি লীগ এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়।

আরও পরে এটা সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, হাই স্কুল এবং ১৩ বছর বা ততোধিক বয়স্কদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সারা বিশ্বে বর্তমানে এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করছেন ৩০০ মিলিয়ন কার্যকরী সদস্য।

ফেসবুক তার চলার পথে বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হয়েছে। সিরিয়া, চায়না এবং ইরান সহ বেশ কয়েকটি দেশে এটা আংশিকভাবে কার্যকর আছে। এটার ব্যবহার সময় অপচয় ব্যাখ্যা দিয়ে কর্মচারীদের নিরুৎসাহিত করে তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ফেসবুক ওয়েবসাইট কে আইন জটিলতায় পড়তে হয়েছে বেশ কয়েকবার জুকেরবার্গের সহপাঠী কর্তৃক, তারা অভিযোগ এনেছেন যে ফেসবুক তাদের সোর্স কোড এবং অন্যান্য বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: