খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ

প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০১৯, ০৭:৪০ পিএম

ধর্মীয় উসকানি ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান এ নির্দেশ দেন। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৪ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাকিব চৌধুরী বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ধর্মীয় উসকানি ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির অভিযোগে করা মামলায় খালেদাকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য গুলশান থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অপরদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমদ তালুকদার জামিনের যে আবেদন করেছেন তা নথিভুক্ত করেন আদালত।

আজ খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমদ তালুকদার তার জামিনের আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ মামলায় আমরা খালেদার ওকালতনামা নিয়ে এসেছি। এ মামলায় আমরা তার জামিন প্রার্থনা করেছি। ন্যায় বিচারের স্বার্থে তার জামিন মঞ্জুর করা হোক। এ সময় বাদী পক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জামিনের বিরোধিতা করেন। মামলার বাদী এবি সিদ্দিকী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২০ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদনের জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। এইদিন প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় ১৪ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়ার অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের এক পর্যায়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ সব ধরনের মানুষের ওপর আঘাত করে। আর লোক দেখানো ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরা এ জবর-দখলকারী সরকারের হাতে কোনো ধর্মের মানুষই নিরাপদ নয়।’

ওই বক্তব্যের জের ধরে দণ্ডবিধির ১৫৩ (ক) ও ২৯৫ (ক) ধারায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর নালিশি মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর আদালত মামলাটি শাহবাগ থানার পরিদর্শক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

বিডি২৪লাইভ/এমআই/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: