মসজিদে হামলার ঘটনায় বিভিন্ন দেশ যা বলছে

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০১৯, ১২:৩২ এএম

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টার্চে আল নূর মসজিদ ও লিনউড মসজিদে খ্রিস্টান বন্দুকধারীদের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের নিহতের তথ্য দিয়েছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছেন তিন বাংলাদেশিও।

তাছাড়া আহত হয়েছেন আরও অর্ধশত লোক। যার মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন অন্তত আটজন। বর্বর এই হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। পাশাপাশি হতাহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তারা।

এ হামলায় সৌদি আরব, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে।

বাংলাদেশ: নিউজিল্যান্ডে দু’টি মসজিদে গুলি চালিয়ে অনেক লোক হতাহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা অর্ডেনের কাছে পাঠানো এক শোকবার্তায় এ ঘটনায় হতাহতদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তিনি।

তুরস্ক: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের মুখপাত্র এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি বর্ণবাদী ও ফ্যাসিস্ট আচরণ। এ ঘটনায় ইব্রাহিম কালিন টুইট করে বলেন, এই হামলার ঘটনাটি ইসলামের প্রতি এবং মুসলমানদের প্রতি শত্রুতা।

ইন্দোনেশিয়া: ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি এক বিবৃতিতে বলেন, ইন্দোনেশিয়া বন্দুক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। বিশেষ করে শুক্রবারে প্রার্থনার প্রস্তুতির সময়। মসজিদের ভেতরে ইন্দোনেশিয়ার ৬ জন ছিল। এর মধ্যে তিনজন অব্যাহতি পেলেও বাকি তিনজন অব্যাহতি পাননি।

পাকিস্তান: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র মোহাম্মদ ফয়সাল এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে নিন্দা জানান।

সৌদি আরব: নিউজিল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিন্দা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসীদের কোনো রাষ্ট্র নেই, কোনো ধর্ম নেই। সব ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের নিন্দা জানাচ্ছি।

আরব আমিরাত: আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গারদাস শুক্রবার এক টুইটে এ হামলাকে ‘হৃদয়গ্রাহী নিন্দা’ বলে আখ্যায়িত করেছে। তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

জর্ডান: জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুমানা গিনিমাত সন্ত্রাসবাদ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, শান্তির জায়গায় হামলা করা হয়েছে।

মালয়েশিয়া: মুসলিম-অধ্যুষিত মালয়েশিয়ার জোট নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম এ ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, এ হামলার ঘটনার বর্ণনায় মালয়েশিয়া আহত হয়েছে। শান্তি এবং মানবতা কালো দিনের সম্মুখীন হয়েছে। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমি গভীরভাবে দুঃখিত বেসামরিক হামলায়। তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

আফগানিস্তান: অস্ট্রেলীয়, নিউজিল্যান্ড এবং ফিজির আফগানিস্তানের অ্যাম্বাসেডর ওয়াহিদুল্লাহ ওয়েসি টুইটারে আফগানিস্তানের তিন নাগরিক আহত উল্লেখ করেন এবং ঘটনার নিন্দা জানান।

রাশিয়া: এদিকে এ ঘটনায় রাশিয়া নিন্দা জানিয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আরদেনকে উদ্দেশ করে বলেন, আমি আশা করি হামলায় জড়িত প্রত্যেককে আলাদাভাবে শাস্তির আওতায় আনা উচিত।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন: ইউরোপীয় ইউনিয়ন পরিষদের সভাপতি ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, এটি নৃশংস হামলা।

যুক্তরাজ্য: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এ হামলার ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

জার্মানি: জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস নৃশংস ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

স্পেন: স্প্যানিশ প্রিমিয়ার পেড্রো সানচেজ হতাহতদের পরিবার ও নিউজিল্যান্ডের সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, আমাদের সমাজকে ধ্বংস করতে চায় এমন উগ্রপন্থী ও চরমপন্থীরা।

এছাড়া এ ঘটনাকে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নিউজিল্যান্ডের কালো দিন বলে উল্লেখ করে। শুক্রবার (১৬ মার্চ) জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের আল নূর ও লিনউড মসজিদে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: